ড. ইউনূসকে নিয়ে ২০১০ সালে সংসদে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্য ভাইরাল
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার জাতীয় সংসদে দেয়া একটি পুরোনো বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা থাকা অবস্থায় ২০১০ সালে বেগম জিয়া জাতীয় সংসদে বক্তব্যটি দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ওই সময় থেকই শেখ হাসিনা নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। আড়াই মিনিটের ওই বক্তব্যে ড. ইউনূসকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ইউএস কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। এ জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।’
খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘তবে স্বদেশে তিনি (ড. ইউনূস) যেভাবে নিগৃহের শিকার হচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। তার মেধা, শ্রম ও ঘামে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও হুমকির মুখে। সরকার (শেখ হাসিনার মনোনীত) নিয়োজিত কমিশন নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ করেছে। আমরা এতে স্তম্ভিত। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করে ফেলবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে এই ব্যাংক (গ্রামীণ ব্যাংক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সেই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের উদ্দেশ্যে প্রতিশোধমূলক চক্রান্ত বন্ধের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। দেশের মানুষ এ ধরনের হীন কার্যকলাপ মেনে নেবে না।’
বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা-ধ্বংস করা খুবই সহজ; কিন্তু এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অনেক কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজ। গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপের যে অপচেষ্টা করছে আমরা এরও তীব্র বিরোধিতা করছি।’
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে লুটতরাজ করে যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, সরকার গ্রামীণ ব্যাংককেও একই অবস্থায় নিয়ে যেতে চায় কি না, প্রশ্ন রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছিলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসের সমর্থনে ও গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে আমাদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করছি। এবং জাতির জন্য যারা সম্মান বয়ে আনেন সেই কৃতী সন্তানরা যেন দেশেও সম্মান পান, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।’
গত বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দীর্ঘ এক যুগ পর ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে যান বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। বেগম জিয়াকে দেখেই ড. ইউনূস সেখানে এগিয়ে যান এবং দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে দু’জনকে পাশাপাশি সোফায় একে অন্যের দিকে হেলে কথা বলতে দেখা যায়। পরে বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন পুরোনো বক্তব্যটি। এ ছাড়াও অনেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন এবং অনেকে পরিচিত হন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ময়মনসিংহে মেডিকেল থেকে রক্ত চোর চক্রের ২সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী পুলিশ
রাতের আঁধারে ভেকুর দাপট, আখাউড়ার মাটি যাচ্ছে মুরাদনগরে
জুলাই আন্দোলনে উজ্জীবিত হয়ে নতুন দেশ গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছেন সোহান
মতলবে সাজাপ্রাপ্ত ২০ মামলার আসামিসহ ২ জন গ্রেফতার
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থদের অবস্থান, সরাতে পুলিশ-সেনাবাহিনীর চেষ্টা
দৌলতপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৩
চাঁদপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
নেত্রকোণায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
হাজীগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া
সোনারগাঁওয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন
ইবিতে অসুস্থ ও পরলোকগতদের স্মরণে দোয়া
২৮ দিন ধরে বন্ধ রৌমারী-চিলমারী ফেরি, ভোগান্তিতে মানুষজন
সুন্দরগঞ্জে এমপি লিটন হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানের মৃত্যু
পর্দানশীন নারীদের এনআইডি না দেয়ার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন
প্রবাসীর সাথে দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল, নেপথ্যে সবজি নিয়ে প্লেনে ওঠার চেষ্টা
নরসিংদীতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্যসহ যুবক আটক
‘শিক্ষা বিপ্লবের মাধ্যমে তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে’
শহীদ জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ইবি ছাত্রদলের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্যই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
গ্রাহকের আমানত নিয়ে লাপাত্তা লক্ষ্মীপুরের মিরিকপুর ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মালিক