তারিক সিদ্দিকীর থাবা

পাসপোর্টের ১১শ’ কোটি টাকা লোপাট

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

প্রকল্প মানেই দুর্নীতি। প্রকল্প গ্রহণ মানেই শত শত কোটি টাকা লুটপাট। ভারত পালিয়ে যাওয়া হাসিনা রেজিমে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি কোনোটিতে। আর প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সরিয়ে নেয়া কিংবা তোষাখানায় ডাকাতির সব ভাগ যেত হাসিনা পরিবারে। পরিবারের সদস্য কিংবা শেখ পরিবারঘনিষ্ঠ কারো হাতছাড়া এমন লুণ্ঠন সম্ভবই হতো না। সরকারি ‘কেনাকাটা’র ছলে অর্থ লুটের পরিকল্পনাটি হতো পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকৃত খরচের কয়েকগুণ বেশি বাড়িয়ে ধরা হতো প্রকল্প ব্যয়। পাস হওয়া সেই ‘প্রকল্প’ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ব্যয় বাড়ানো হতো আরো কয়েকগুণ। এভাবে প্রতিটি ‘উন্নয়ন প্রকল্প’কে হাসিনা এবং তার মাফিয়াচক্রের সদস্যরা হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। এমনই একটি সরকারি কেনাকাটা বা প্রকল্পের নাম ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ’ প্রকল্প বা ‘এমআরপি’।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কথা বলে ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রকল্প হাতে নেয় হাসিনা সরকার। প্রকল্পটি ৮০ কোটি টাকার মধ্যেই সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু অর্থ লোপাটের লক্ষ্যে কয়েক দফায় প্রকল্পটির খরচ নিয়ে ঠেকানো হয় ১১শ’ কোটি টাকায়। যা থেকে লুটপাটই করা হয় এক হাজার ২০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে যে অর্থ লুটপাট হয়েছে তার প্রমাণ মেলে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত নি¤œমানের পাসপোর্ট বই থেকে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০১০ সালে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় পাসপোর্ট বই কেনার জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডার সম্পন্ন করার পর ২০১৩ সালে পাসপোর্ট বুক সরবরাহকারী ইংল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ডি-লারু’র সঙ্গে চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী ২০১৫ সালে আড়াই কোটি পাসপোর্টের মধ্যে প্রথম দফা মাত্র দেড় কোটি পাসপোর্ট বই পাসপোর্ট অধিদফতরকে বুঝিয়ে দেয় ডি-লারু। পরিকল্পনা, ক্রয় কমিটি গঠন, টেন্ডার আহ্বান, কারিগরি কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি, রিসিভ কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কেনাকাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম, পরিচালক সিরাজউদ্দীন, মো. ফজলুল হক, পরিচালক সেলিনা বানু, আবু আসাদ, এস এম নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ শিহাবউদ্দিন খান, মাজহারুল ইসলাম, নাদিরা আক্তার ও রোজী খন্দকার। তাদের সংশ্লিষ্টতায় কেনা হয় এমআরপি পাসপোর্ট বই।
তাদের দুর্নীতি ধরা পড়ে যখন প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহকৃত পাসপোর্ট বইগুলো কোয়ালিটি ঠিক আছে কি-না সেটি যাচাইয়ে পাঠানোর পর। প্রাথমিক পরীক্ষায়ই পাসপোর্ট বইগুলো নি¤œমানের বলে ধরা পড়ে। কারণ বইগুলো ছাপানোর সময় প্রতিদিন দুই থেকে ৩০০ বই বিনষ্ট হয়ে যায়। টেন্ডারের শর্ত ছিলÑ পাসপোর্ট বইয়ে ৫২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে মাত্র ৩২টি। গুরুত্বপূর্ণ ২০টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যই কম দেয় ডি-লারু।
জানা গেছে, নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য কম দেয়া বইগুলো পাসপোর্ট অধিদফতরকে গছানোর জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রথম দফায়ই পাসপোর্টের তৎকালীন মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, টেকনিক্যাল কমিটি, একসেপ্টেন্স কমিটিকে ৩৫ কোটি টাকা ঘুষ দেয়। টেন্ডারে কেনা হয় তিন ক্যাটাগরির পাসপোর্ট বই। সাধারণ পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট ও ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট। বইগুলোতে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য না থাকার কারণে সহজেই জাল-জালিয়াতি করা সম্ভব হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার অফিসিয়াল পাসপোর্ট জাল হয়ে। সাধারণ মানুষের হাতে চলে যায় কয়েক হাজার অফিসিয়াল পাসপোর্ট। অফিসিয়াল পাসপোর্ট সাধারণ মানুষের হাতে চলে যাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। এ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পরস্পর চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে চলে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এক ভয়াবহ দুর্নীতি। কিন্তু এ দুর্নীতির সঙ্গে হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। এমআরপি পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন মেজের জেনারেল (অব.) মো. মাসুদ রেজওয়ান। কয়েক দফা পিডির মেয়াদ বাড়িয়ে মাসুদ রেজওয়ানকে রাখা হয় এমআরপি প্রকল্পে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাসুদ রেজওয়ানকে মহাপরিচালক (ডিজি) করে পাসপোর্টেই বহাল রাখেন তারিক সিদ্দিকী। আর এই তারেক সিদ্দিকীর নির্দেশেই দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বিরাট এই দুর্নীতি ধামাচাপা দেন। পরবর্তীতে তারিক সিদ্দিকীর ইশারায় মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন কমিশনও বিষয়টি চেপে যায়। ‘ডি-লারু কেলেঙ্কারি’-খ্যাত আলোচিত এই দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করেন যথাক্রমে ফরিদ আহম্মেদ পাটোয়ারি, কাজী শফিকুল আলম, মো. শফিউল্যাহ এবং শাহীন আরা মমতাজ। তাদের মধ্যে মো. সফিউল্যাহ ছাড়া কেউ এখন দুদকে নেই।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, এমআরপি পাসপোর্ট প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বেশ কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। এর মধ্যে একটি ছিল গুণগত মান পরীক্ষা প্রতিবেদন। মান পরীক্ষার জন্য ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর সংস্থাটি সায়েন্স ল্যাবরেটরির ‘ডিজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট’ সার্ভিস সেকশনকে (এমএসএস) তিন ধরনের পাসপোর্টের নমুনা কপি পাঠায়। পরীক্ষা শেষে ওই বছর ১৪ ডিসেম্বর এমএসএস সেকশন প্রতিবেদন পাঠায়। ডিআরআইসিএমকে পাসপোর্টের ১৪৭টি স্পেসিফিকেশন যাচাই করার জন্য নমুনা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির মেজারমেন্ট সার্ভিস সেন্টার (এমএসএস) টেন্ডারে উল্লিখিত স্পেসিফিকেশন যাচাই করে। নমুনা পাসপোর্টগুলো হচ্ছে, সাধারণ পাসপোর্ট (নং-বিএম-০৫৯১০০১), অফিসিয়াল পাসপোর্ট (নং-বিএমজি-০০২৩০০১) এবং একটি ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট (নং-০০০৭)। এমএসএসের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, টেন্ডারে উল্লিখিত স্পেফিকেশন এবং ডি-লারু সরবরাহকৃত এমআরপি পাসপোর্ট বইয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
পাসপোর্ট অধিদফতরের টেন্ডার স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছিল, এমআরপি পাসপোর্ট বইয়ের পেছনের কভার পৃষ্ঠার সিকিউরিটি ফাইবার হবে ৭০ থেকে ৭৫টি। এমএসএস পরীক্ষায় সিকিউরিটি ফাইবার মিলেছে ২৫ থেকে ৩০টি। অর্থাৎ স্পেসিফিকেশনের অর্ধেকের কম ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাসপোর্ট বই।
টেন্ডারে ‘ভিসা পেজ’-এর ১৯ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, এমআরপি বইয়ে ‘রেইন বো প্রিন্টিং’ থাকতে হবে। এমএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। অর্থাৎ বইতে কোনো রেইন বো প্রিন্টিং নেই। ২১ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছিল, পাসপোর্ট বুকে ‘ইন্টিগ্রেটেড পেজ নম্বর’ থাকতে হবে। যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। কিন্তু ডি-লারুর দেয়া স্যাম্পলে ‘ইন্টিগ্রেটেড পেজ নম্বর’ দেখালেও সরবরাহকৃত বইগুলোতে সেটি পাওয়া যায়নি। এ কারণে সহজেই এমআরপি পাসপোর্ট জাল করা সম্ভব হচ্ছে। এমএসএসের রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’।
২৬ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, প্রতি পৃষ্ঠায় ৬০ থেকে ৬৫টি ‘সিকিউরিটি ফাইবার’ থাকতে হবে, যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। কিন্তু ডি-লারু স্যাম্পল বইতেই সাধারণ পাসপোর্টে ২৫ থেকে ৩০টি সিকিউরিটি ফাইবার রয়েছে মর্মে বলা হয়। কিন্তু সরবরাহ করা বইয়ে পাওয়া গেছে ২০ থেকে ২৫টি ফাইবার। অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে দেয়া হয় ২৫ থেকে ৩৫টি ফাইবার। সরবরাহ করা পাসপোর্ট বইতে মিলেছে ২৫ থেকে ৪০টি করে ফাইবার। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বইয়ের স্যাম্পলে ছিল ২৫ থেকে ৩৫টি ফাইবার। কিন্তু এমএসএস রিপোর্টে পাওয়া গেছে ২৫ থেকে ৪০টি ফাইবার। অর্থাৎ গড়ে ৪০টি ফাইবার কম দিয়ে বই সরবরাহ করা হয়েছে। পাসপোর্টের টেন্ডার স্পেসিফিকেশনের ৪০ নম্বরে (বায়োডাটা পেজ) রেইনবো প্রিন্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। কিন্তু ডি-লারু স্যাম্পলেই এটি দেয়নি। সরবরাহকৃত বইয়েও এটির অস্তিত্ব মেলেনি। এমএসএস রিপোর্টে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’।
টেন্ডারের ৪৪ নম্বরের চাহিদা অনুযায়ী পাসপোর্ট বইতে ৮৫ থেকে ৯০টি সিকিউরিটি ফাইবার থাকতে হবে। সাধারণ ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে এটি আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টে আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। টেন্ডারের ৪৫ নম্বর স্পেসিফিকেশনে রয়েছে সেকেন্ডারি পোট্রেট (ঘোস্ট ইমেজ), যা ইউভি লাইটে দেখা যাবে। সরবরাহ করা কোনো প্রকার পাসপোর্ট বইতেই এটির অস্তিত্ব নেই। এমএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’।
টেন্ডারের ৪৬ নম্বর স্পেসিফিকেশনে রয়েছে ইউভি পাসপোর্ট নম্বর। এটি ডি-লারুর স্যাম্পলে নেই, সরবরাহও করেনি। পাসপোর্ট টেন্ডারের ১৩ নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, বইয়ের শুধুমাত্র ফ্রন্ট কভার হবে ১৩ মাইক্রোনের সোনালি ফয়েল এমবোসিং। পুরুত্ব হবে ৩৫০ মাইক্রন। এমএসএসের রিপোর্ট বলছে ‘নট-পারফর্মড’, অর্থাৎ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী গোল্ডেন এমবোসিং দেয়া হয়নি। ডাটা পেজ ব্যতীত পেজের ডিজাইন সংক্রান্ত ৩৭ নম্বর স্পেসিফিকেশনে আছে রেইনবো প্রিন্টিং, এন্টি স্ক্যান প্যাটার্ন (স্টার টাইপ)। বইটি যাতে স্ক্যানিং করা না যায় সে লক্ষ্যে এন্টি স্ক্যান প্যাটার্ন রাখা হলেও সরবরাহ করা ডি-লারুর কোনো রকম পাসপোর্টেই এটি নেই। ফলে বর্তমান এমআরপি পাসপোর্ট বইগুলো সহজেই স্ক্যান করে জাল করা সম্ভব। ৩৮ নম্বর ‘প্ল্যানচিস্ট’ সম্পর্কে এমএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘নন-কমপ্লায়েন্ট’। টেন্ডারে ‘হাই সিকিউরিটি পেপার’ ৩৯(১) নম্বর স্পেসিফিকেশনে বলা হয়েছে, ইউভি লাইটের স্পর্শকাতর তন্তু, অদৃশ্য হলুদ, নীল ও লাল কালি। ফাইবারের দৈর্ঘ্য হবে ৩/৩.৫ মিলিমিটার। ফাইবারের পুরুত্ব হবে ২০-২৫ ডেসিটেক্স। ওজন হবে ৯৮ গ্রাম। সাধারণ পাসপোর্টের স্যাম্পলে রয়েছে ৯৯.২ গ্রাম, সরবরাহ করা হয় ৯৬.৬ গ্রাম। অফিসিয়াল পাসপোর্টের স্যাম্পলে ৯৮.৮ গ্রাম সরবরাহে ৯৯.২ গ্রাম এবং ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের স্যাম্পলে ১০০.২ গ্রাম এবং সরবরাহে ৯৫.৯ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে চিকন ফাইবার দিয়ে পেজের পুুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে।
৪০ নম্বর স্পেসিফিকেশনে ইনার কভার পেজ ৫০ শতাংশ কটন এবং ৫০ সেলুলজ দেয়ার কথা থাকলেও সেটি দেয়া হয়নি। এমএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয় ‘নট পারফর্মড’। এর ফলে বইগুলো তাপামাত্রার তারতম্য ঘটলেই টিউবের মতো বেঁকে যাচ্ছে। ৭৩ নম্বর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পেজ নম্বরে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার কথা। কিন্তু ডি-লারু সাধারণ পাসপোর্টের স্যাম্পলেই এটি দেয়নি। সরবরাহকৃত সাধারণ পাসপোর্টেও এটি নেই। উচ্চতর পরীক্ষায় এরকম অসংখ্য বিচ্যুতি পাওয়া যায় সরবরাহকৃত এমআরপি পাসপোর্টে। কিন্তু তারেক সিদ্দিকীর ইশারায় এমআরপি পাসপোর্টের দুর্নীতি অনুসন্ধান পর্যায়ে ধামাচাপা দেয়া হয়। আর এভাবেই অনুদঘাটিত থেকে যায়, হাসিনার মাফিয়া চক্রের সদস্য তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, তার ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা কর্মকর্তা, এমআরপির পিডি (পরবর্তীতে পাসপোর্ট ডিজি) মাসুদ রেজওয়ান এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা লোপাট-কাহিনী।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার