বিশ্ববাজারের তুলনায় আমরা ভালো আছি: বাণিজ্যমন্ত্রী
০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৭ পিএম
বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, ‘বিশ্ববাজারের তুলনায় আমরা ভালো আছি।’ সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় পর্বে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম ও অস্থায়ী আপদকালীন পণ্য মজুদগার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পণ্যের সমস্যা নেই, তাহলে বাজারে দাম কমছে না কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে সবকিছু নয়। আপনারা যেমন ভাবছেন মুরগীর দাম, এটা কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কন্ট্রোল করে না। সবার ধারণা হয়েছে যাই বাড়বে সব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রয়লারের দাম বেড়েছে সেটা মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা চেষ্টা করি ভোক্তাদের যেন কষ্ট না হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব পণ্য সেগুলোর দাম আমরা ঠিক করে দেই। আমরা প্রত্যক্ষভাবে সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। এখন যদি বলেন, ধান উৎপাদনের সমস্যার উত্তর দিতে হবে সেটি তো আমি দিতে পারবো না। চালের দাম বাড়লেও বলা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি করে।’
রমজানে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর আগের চারটি রমজান আর এবারের রমজান তুলনা করলে দেখবেন আগের চেয়ে ভালো। সংকট গভীর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।’
এসময় তিনি সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম যে ২৫ টকা হয়েছে সেটা তো বলেন না, সেটার অ্যাপ্রিসিয়েশনটা চাই। ইংল্যান্ডের দোকানে তিনটির বেশি টমেটো কিনতে পারেন না। জার্মানির স্টোরগুলোতে তেলের তাক খালি পড়ে আছে। সারা বিশ্বের বাজারে একই অবস্থা। সেই বিবেচনায় আমরা ভালোই আছি।’
টিপু মুনশী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে আমরা ১ কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডাল, তেল, চিনি এবং রমজান উপলক্ষে ছোলা ও ঢাকা শহরে খেঁজুর দিয়েছি। প্রতি মাসে একবার দেই। কিন্তু রমজান মাসের কথা চিন্তা করে আমরা দুই বার একই ধরনের পণ্য দিচ্ছি।’
তিনি বলেন ‘আমরা প্রথমে চিন্তা করছিলাম ৫০ লাখ মানুষকে দেওয়া যায় কি না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১ কোটি পরিবারকে দিতে। প্রতিটি পরিবারে যদি ৫ জন ধরি তাহলে ১ কোটি পরিবারের ৫ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের দেশের দরিদ্রসীমায় আছে ৩ কোটি থেকে সাড়ে তিন কোটি। আমরা কিন্তু তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষকে এই সুবিধা দিয়েছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় ১৩ লাখ পরিবারকে আমরা সহায়তা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এটা চালিয়ে যেতে বলেছেন। করোনা মহামারি গেছে, মহামারি-অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সবকিছুর প্রভাব মানুষের ওপর পড়েছে। আমরা শুরু করেছি, আশা করি সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো এই কার্যক্রম।’
এক কোটির বাইরেও বেশি সংখ্যক মানুষকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটিকে আমরা ধরেছি। কোথাও কোথাও দেখা যায় কিছু বাদ পড়ে গেছে সেক্ষেত্রে আমরা ১-২ হাজার বাড়াই।’##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা
ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ
কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক
হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী
যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ