বিএনপি চেয়ারপার্সন হিসেবে রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার ৪১ বছর
১১ মে ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম | আপডেট: ১১ মে ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম
স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিএনপির কাউন্সিলের মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন তিনি। সেই হিসেবে দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে রাজনীতিতে আসার ৪১ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি।
বর্তমান রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় থাকলেও দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ওনার জীবনে অর্জন অনেক। একজন গৃহবধূ থেকে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। এরশাদ (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) সরকারের আমলে যখন বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়, তখন তিনি শক্ত হাতে হাল ধরেন। দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে ১৯৯১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। একইভাবে ২০০১ সালে আবার প্রধানমন্ত্রী হন। এভাবে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ যখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, তখন তাকে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। এর আগেও তাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনো নত স্বীকার করেননি। খালেদা জিয়ার বড় অর্জন তিনি গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা জন্য সব সময় লড়াই করেছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তিনি সফলও হয়েছেন। এখনও তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য গৃহবন্দি রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম। ডাক নাম পুতুল। ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট জলপাইগুড়িতে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। তার বাবা ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার।
১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তখন তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন। ডি এফ আই এর অফিসার হিসেবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। খালেদা জিয়ার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি লন্ডনে আছেন। আর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়া একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশ মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকেই তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন। এরমধ্যে গত ২৯ এপ্রিল ৬ষ্ঠবারের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রসঙ্গত, উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয়বাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার সামরিক শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। জেনারেল জিয়া প্রেসিডেন্টের পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী