মহাসমাবেশ ঠেকাতে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে: রিজভী
২৬ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঠেকাতে সারাদেশ থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের আটক করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ২৭ জুলাই আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। মহাসমাবেশে জনতার ঢল নামবে। আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নেতা-কর্মীরা সরকারের সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে সফল করবেন। কারণ সময় এসেছে রাজপথে ফায়সালা করার। বুধবার (২৬ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভোটাধিকার আদায়ে রাজপথ দখলের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। তিনি সারাদেশ থেকে দলে দলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীকাল ২৭ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী ভোট বঞ্চিত গোটা দেশের মানুষকে যে আহবান জানিয়েছেন তাতে সাড়া দেয়ার জন্য আমি দলের পক্ষ থেকে পুনরায় উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। কারন সময় এসেছে রাজপথে ফায়সালা করার। সময় এসেছে আবারো বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার নব্য বাকশালী মাষ্টারপ্ল্যান চূর্নবিচূর্ন করে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠার। টানা ১৫ বছর ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে পিষ্ট সব মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন বর্তমান অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাচনকালীন নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকার আদায় জনগণের এখন মূলদাবী। এজন্য সকলকে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দফা এক দাবি এক- শেখ হাসিনার -পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা।
তারেক রহমান মহাসমাবেশ সফল করার আহŸান জানিয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, 'ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতন্ত্রকামী সকল শ্রেণী পেশার জনগন যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাবেশে যোগ দেই তাহলে ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের দাবি মানতে বাধ্য হবে। জনগণের এখন একটাই দাবি, 'দফা এক দাবি এক - শেখ হাসিনার পদত্যাগ'। শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অবৈধ সরকার, অবৈধ সংসদ আর বর্তমানের মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন রেখে কখনোই নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেনা, হতে পারেনা। জনগণ হতে দেবেনা'।
তিনি বলেছেন, চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত সফলতায় নিতে বিএনপি এবং গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল, আগামী ২৭ জুলাই রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ আহবান করেছে। এই সমাবেশ, স্রেফ কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সমাবেশ নয়। এই সমাবেশ, ছাত্র-তরুণ-যুবক-নারী-শিশু এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার সমাবেশ। এ সমাবেশ সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাবেশ। এই সমাবেশ মানবাধিকার কর্মীরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তেমন পরিবেশ তৈরির জন্য সমাবেশ। এই সমাবেশ দেশের সিভিল সোসাইটি যাতে নিরাপদ পরিবেশে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন তেমন রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। এই সমাবেশ ১২ কোটি মানুষের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের সমাবেশ। এ সমাবেশ রাজনীতিবিদরা যাতে মানুষের পক্ষে নির্ভয়ে কথা বলতে পারেন, এটি সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমাদের নেতা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, 'ফ্যাসিস্ট মাফিয়া চক্রের কাছে জনগণ আর জিম্মি থাকতে পারেনা। মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণ জেগে উঠেছে। তিনি সবাইকে সারাদেশ থেকে ভোটের অধিকার আদায়ের মিছিলে শামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশ যাবে কোন পথে-ফয়সালা হবে রাজপথে। তিনি গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি শপথ গ্রহণের আহবান জালিয়ে বলেন, আসুন, আবারো শপথ নেই, দেশ এবং জনগনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এক দফা দাবি আদায়ে 'লড়বো একসাথে, রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার আলোকে 'দেশ গড়বো একসাথে'।
গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেছেন, 'বর্তমান দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে বিনাভোটে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা তাবেদার অপশক্তি অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি। সিদ্ধান্ত নেয়ার চূড়ান্ত সময় এসেছে। সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন পক্ষে যাবেন। গণতন্ত্রবিরোধী রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকারের 'পিস কমিটি'র তালিকায় নাম লেখাবেন নাকি দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের পক্ষের দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির সমাবেশে যোগ দেবেন'।
আমাদের নেতা বলেছেন, এবার যদি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো জনগণের ভোট ডাকাতি করার সুযোগ পায়, তাহলে দেশ চূড়ান্তভাবে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ভোটের অধিকার হারিয়ে, মানুষের অধিকার হারিয়ে, মানবিক মর্যাদা হারিয়ে স্বাধীন দেশে জনগণকে পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের দৃঢ় ও সাহসী সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে গণতন্ত্রকামী জনগণের নিরাপদ ভবিষ্যৎ।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দুদক এবং নির্বাচন কমিশনের মতো বিচার বিভাগও এখন মাফিয়া সরকারের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে অবিশ্বস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নাম, নির্বাচন কমিশন। সা¤প্রতিক সময়ে ঢাকার কথিত একটি উপনির্বাচন এবং নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আচরণ রীতিমতো ফৌজদারি অপরাধের সামিল।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা জবরদখল করে রাখা ফ্যাসিস্ট অপশক্তি যতই হুমকি ধামকি দিক তারা সংখ্যায় নগন্য অপরদিকে গণতন্ত্রকামী জনগণের সংখ্যা অসংখ্য অগণিত। সুতরাং, গণতন্ত্রকামী জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনকে সফল গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। স্বাধীনতার ঘোষকের একজন সৈনিক, বিএনপির একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতেও গণতন্ত্রকামি জনগণের আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারেনা। ৫২'র ভাষা আন্দোলন জনগণ ব্যর্থ হতে দেয়নি। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ জনগণ ব্যর্থ হতে দেয়নি। হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র-মানবাধিকার- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনও জনগণ ব্যর্থ হতে দেবেনা। দাবি আদায় করে তবেই জনগণ ঘরে ফিরবে। জনগণের বিজয় হবেই হবে। বিজয় সন্নিকটে, সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
তারেক রহমান পুলিশ ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,'একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমর্থন থাকা স্বাভাবিক। তবে বিএনপি আশা করে, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা কর্মচারী হিসেবে সেই সমর্থন ব্যক্ত করার একমাত্র জায়গা হওয়া উচিত ভোট কেন্দ্র।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'সুতরাং রাষ্ট্র অর্পিত দায়িত্বের অপব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণের সঙ্গে আপনি কোনোভাবেই নিজেকে জড়াবেন না' প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, আপনি নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে আপনি কি আপনার নিজের ভোটটি দিতে পেরেছেন ? আপনার পরিবারের সদস্যগণ ভোট দিতে পেরেছে ? পারেননি। আপনাদের কেউ কেউ হয়তো নিশিরাতে একাই একাধিক ভোটের বাক্স ভর্তি করে ভোট ডাকাতের সহযোগী হতে পেরেছেন। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থীকে একটি মাত্র ভোট দেয়ার গৌরবজনক সম্মানটি অর্জন করতে পারেননি। সুতরাং, জনগণের চলমান যেই আন্দোলন, এই আন্দোলন 'আপনি যাতে ভোট দিতে পারেন, আপনার সেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার-ও আন্দোলন'।
তিনি বলেন, 'জনগণের চলমান এই আন্দোলন প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়। আপনারা সতর্ক থাকবেন, জনগণের আন্দোলন সম্পর্কে মাফিয়া সরকার নানারকম গুজব ছড়িয়ে আপনাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করবে। আপনারা মাফিয়া চক্রের ছড়ানো গুজবে কান দেবেন না। আপনাদের কারো ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনারা নিজেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার লালসা মেটানোর হাতিয়ারে পরিণত করবেন না। মনে রাখবেন, আপনাকে ব্যবহার করা শেষ হয়ে গেলে মাফিয়া চক্র আপনাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে'।
রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই আন্দোলনকে সফল করতে নাগরিকদের লুন্ঠিত ভোটেরঅধিকার পুনরুদ্ধার-ই বিএনপির প্রথম অগ্রাধিকার। লুন্ঠিত ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের চলমান এই আন্দোলনে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ণের শিকারে পরিণত হয়েছেন। এই আন্দোলনে শহীদের কাতারে সর্বশেষ শামিল হয়েছেন লক্ষীপুরের সজীব। গণতন্ত্র-মানবাধিকার-ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান এই আন্দোলনে 'শহীদে'র মিছিল হয়তো আরো দীর্ঘ হবে। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে ফ্যাসিস্টরা হয়তো আরো মরণ কামড় দেবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ইতোমধ্যেই মাফিয়া সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। দেশে যেমন ফ্যাসিস্ট সরকারের আয়ু কমতে শুরু করেছে একইভাবে তাদের বিদেশে পালানোর পথও রুদ্ধ হয়ে আসছে। নিজেদের করুন পরিণতি ঠেকাতে ফ্যাসিস্ট সরকার এখন '৭১ সালের মতো তথাকথিত 'পিস কমিটি' গঠন করেছে। ৭১ সালে 'পিস কমিটি' গঠন করেও হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দমাতে পারেনি। বর্তমানেও 'আওয়ামী পিস কমিটি' দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার চলমান আন্দোলন দমাতে পারবে না।
রিজভী বলেন, আমাদের নেতা বলেছেন, এ অবস্থার পরিবর্তন অনিবার্য। পরিবর্তনের জন্য দরকার জনগণের ক্ষমতায়ন। জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা এবং টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান অস্ত্র প্রতিটি নাগরিকের 'ভোটের অধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা বিধান' । জনগণ দিনের আলোয়, নির্ভয়ে, নিরপেক্ষভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে কখনোই ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা থাকা সম্ভব নয়। এ কারণে ক্ষমতা দখল করেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রথমেই জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিনাভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে প্রকাশ্যেই অন্য দেশের করুনা ভিক্ষা করছে। অবৈধ ক্ষমতার লালসা মেটাতে এভাবে অন্যদেশের করুনা ভিক্ষা করার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান করেছেন। দেশে বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ভোটার। ভোটার তালিকায় এরমধ্যে গত একদশকে তরুণ প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের এইসব ভোটারদেরকে গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। আজকের তারুণ্যই আগামীর বাংলাদেশ। অথচ জীবনের শুরুতেই তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যাচার আর প্রতারণার সঙ্গে পরিচিত হতে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম জীবনের শুরুতেই দেখেছে তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে এক মিথ্যাবাদী প্রতারক সরকার। ভোট ডাকাত মাফিয়া সরকার তরুণ প্রজন্মের সামনে লুটপাট-দুর্নীতি-মিথ্যাচার ছাড়া কোনো আদর্শ উপস্থাপন করতে পারেনি বলেই অন্যের স্বার্থ রক্ষায় কিছু তরুণ তাদেরই সহপাঠি আবরারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একজন মাত্র ব্যক্তির অবৈধ ক্ষমতার লালসা মেটাতে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ, ফ্যাসিবাদের যাঁতাকলে পিষ্ট। গণতন্ত্রের ঘাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। মাফিয়া চক্রের সীমাহীন অবিচার-অনাচার-অত্যাচারে জনজীবনে নাভিঃশ্বাস উঠেছে। একদিকে চলছে লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া চক্রের বিকৃত উল্লাস, অপরদিকে ঘরে ঘরে, স্বামী-সন্তান-স্বজন আর অধিকারহারা মানুষের নিঃশব্দ ক্রন্দন। মাফিয়া চক্রের দেশ এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি জনগণের সামনে বলে আসছিলো। শত বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করেও অব্যাহত রেখেছিলো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলন। এ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য কর্মী জীবন দিয়েছেন। গুম খুন অপহরণের শিকার হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেনপঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তিনি বলেন, নিশিরাতের মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির এতদিন যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছিল আজকের বাস্তবতায় এটি প্রমাণিত, বিএনপির প্রতিটি অভিযোগ যৌক্তিক এবং সত্য। ফলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, বিএনপির দাবিগুলোর প্রতি দেশের জনগণ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিও একইভাবে তাদের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। দেশের জনগণ বিশ্বাস করে এই মাফিয়া চক্রের হাতে দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা ও সম্মান নিরাপদ নয়। দেশ এবং জনগণ আজ এক গভীর সংকটে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আরো একাধিকবার এমন নৈরাজ্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। তবে বারবার প্রতিবার দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির সাহসী ভূমিকায় দেশ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ আরও অনেকে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের