শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ এজাহার নামীয় ৫১ জন এবং অজ্ঞাত আরো অন্তত ৪০ জনসহ ৯০ জন বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ।

পুলিশের দাবী পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও কিছু লাঠিসোটা ঘটনাস্থল বাজিতখিলা সুলতান চাউল কলের সামনে থেকে উদ্ধার ও চার যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বাজিতখিলা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আলম মিয়া, যুবদল কর্মী গোলাম মোশারফ ও মো. এংরেজ আলী।

মামলার এজাহার লেখা হয়েছে গত ৯ অক্টোবর সোমবার রাতে সদর উপজেলার বাজিতখিলা সুলতান চাউল কলের সামনে বিএনপি ও যুবদল নেতা কর্মীরা নাশকতা কর্মকান্ডের পরিকল্পনার জন্য মিটিং করছিলো, এসময় পাঁচটি ককটেল ও বেশ কিছু লাঠিসোটাসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।

পরে ১০ অক্টোবর এ ঘটনায় বিস্ফোরক ও নাশকতা মামলা দায়ের করা হয় এবং আটককৃতদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর বলেন, আন্দোলন থামাতে পুলিশের সেই পুরাতন কোশলের গায়েবি মামলা এটা। গ্রেফতারকৃতদের রাতে বাড়ীতে বাড়ীতে পুলিশ হানা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। অযথা হয়রানী করতেই এ মামলা।

এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল ঘটনা ও মামলার সত্যতা স্বীকার করেছন।