ঢাকা   শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৫ কার্তিক ১৪৩১

দেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়: প্রধানমন্ত্রী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম

 

 আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ সবকিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার যতটুকু করার আমি করে যাচ্ছি। এরপর যেন বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা থেমে না যায়। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা শিক্ষার্থী যাদের বয়স ২০ বছর তারা উপলব্ধিও করতে পারবে না ২০ বছর আগের বাংলাদেশ কী ছিল। সেখানে ক্ষুধা ছিল, দারিদ্র্য ছিল, জ্ঞান-বিজ্ঞানে কোনো অগ্রগতি ছিল না। ১৯৯৬ সাল থেকেই তো আমরা প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ করার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার এটাই চাওয়া থাকবে আধুনিক জ্ঞান- বিজ্ঞানে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমার যতটুকু করার আমি করে যাচ্ছি। এরপর যেন বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা থেমে না যায়। আজকে বাংলাদেশে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন করতে পেরেছি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি করতে পেরেছি। যদিও কোভিড আমাদের ও বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই দেশকে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আমাদের বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। লেখাপড়া শিখে গ্রামের মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের যত উন্নতি হবে, দেশেরও তত উন্নত হবে। মুষ্টিমেয় লোকের উন্নতি নয়, উন্নতি হতে হবে সর্বজনীন। তৃণমূল থেকে এ উন্নয়ন হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকেই সংগ্রামের শুরু। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাঙালির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা-চেতনা ১৯৪৮ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল।’ ভাষা আন্দোলনের সময়ই বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ দেশকে স্বাধীন করতে হবে, বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে হবে। সেভাবেই তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতিটি পদক্ষেপের লক্ষ্যই ছিল এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে মুক্ত করা। তার মধ্যে আশ্চর্য একটা শক্তি ছিল। তিনি ভবিষ্যতে কী হবে বলতে পারতেন। সেভাবেই তিনি পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি যখন-তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ছেষট্টির ছয় দফা এবং সত্তরের নির্বাচনের মধ্যেই ছিল স্বাধীনতার কথা।

বিভিন্ন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ছয় দফা আন্দোলন এবং সত্তরের নির্বাচন। অনেকেই তখন বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, বাঙালির পক্ষে কে কথা বলবে সেটা নির্দিষ্ট হওয়া উচিত। তার প্রতিটি কর্মকাণ্ডের মধ্যেই ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, স্বাতন্ত্র্যবোধ এবং উন্নতি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, তখন তার সঙ্গে অনেক ছাত্রনেতাই বহিষ্কৃত হন। তবে অনেকে মুচলেকা এবং জরিমানা দিয়ে ছাত্রত্ব ফেরালেও বঙ্গবন্ধু তা করেননি। তিনি বলেছিলেন, মুচলেকা এবং জরিমানা দেওয়া মানেই অন্যায় অপবাদ মেনে নেওয়া। এর ফলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার হওয়ার পর আমার দাদা তাকে বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিলেতে পড়তে যাননি। তিনি আইন বিভাগের ছাত্র হয়েও জাতির জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে আইন পড়া শেষ করতে পারেননি। মাঝে মাঝে তিনি ঠাট্টা করে বলতেন, পাকিস্তানিরা তার বিরুদ্ধে এত মামলা দিয়েছিল যে, সেই মামলা মোকাবিলা করতে করতেই তিনি সব আইন শিখে গিয়েছিলেন।

২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া এবং ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রি প্রদান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, এই জাতিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিল। তিনি নিজের জীবনের জন্য কিছু চাননি। তার লেখা বইগুলো পড়লে এদেশের সংগ্রামের অনেক ইতিহাস জানা যাবে। বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই বইগুলো পড়লে দেশের রাজনীতি এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে।

কন্যা হিসেবে পিতা মুজিবের মূল্যায়ন করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশের মানুষকেই বেশি ভালোবেসেছেন। দেশের মানুষের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি দেশের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা দিয়েই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র তিন বছরে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার নেতৃত্বের কারণেই তখন ১২৬টি দেশ আমাদের স্বীকৃতি দেয়।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমাদের শৌর্যবীর্য হারিয়ে গিয়েছিল। বিশ্বে বিজয়ী জাতি হিসেবে যে সম্মান ছিল, সেটাও হারিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই ২৯ বছর আমরা খুনি এবং দুর্ভিক্ষময় জাতি হিসেবে পরিচিত ছিলাম। তখন উন্নয়ন পিছিয়ে গিয়েছিল এবং মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হতো।

সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমারও বিশ্ববিদ্যালয়। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি চাই গবেষণা যেন হয়। গবেষণার ওপর যেন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কৃষি গবেষণায় আমরা অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। আজকে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিজ্ঞানের গবেষণায়ও আমরা এগোচ্ছি। আমরা একটা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। দ্বিতীয়টাও করবো। এরপর আমাদের চাঁদে যেতে হবে। এজন্য ইতোম্যধ্যে লালমনিরহাটের এভিয়েশন স্পেস ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে সব ধরনের শিক্ষা ও গবেষণা আমরা করতে পারি।

গবেষণার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দেবেন। তাহলে এই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি তো আর অত বেশি পড়াশোনা করিনি। মাস্টার্স ডিগ্রিটাও শেষ করতে পারিনি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় এসে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ আমার জন্য সৌভাগ্যের এবং অনেক বড় পাওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করতে না পারার আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতাম, মাস্টার্স ডিগ্রিটা শেষ করতে পারতাম, অনেক খুশি হতাম। পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক ডিগ্রি পেয়েছি। ওতে মন ভরে না। নিজের ইউনিভার্সিটিরটা পেলাম না। অবশ্য আমাকে একটা অনারারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা তো না। পড়াশোনা করতে পারলে তো আরও ভালো হতো।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ
ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না : মঈন খান
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দৃষ্টি হারিয়েছে ৭০০, আহত ৩০ হাজার’ : স্বাস্থ্যসেবা সচিব
ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান
পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !
আরও

আরও পড়ুন

'আনিকা আলমকে বিশেষ বার্তা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর'

'আনিকা আলমকে বিশেষ বার্তা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর'

জিরো পয়েন্ট রাতেই দখলে নিল ছাত্র-জনতা

জিরো পয়েন্ট রাতেই দখলে নিল ছাত্র-জনতা

‘আওয়ামী অপশক্তির অপতৎপরতা নস্যাতে জামায়াত প্রস্তুত’

‘আওয়ামী অপশক্তির অপতৎপরতা নস্যাতে জামায়াত প্রস্তুত’

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

ইউক্রেনকে আর সহায়তা না করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের পরামর্শকের

ইউক্রেনকে আর সহায়তা না করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের পরামর্শকের

জিরো পয়েন্টে আ. লীগের বিচার দাবিতে গণজমায়েতের ডাক শিক্ষার্থীদের

জিরো পয়েন্টে আ. লীগের বিচার দাবিতে গণজমায়েতের ডাক শিক্ষার্থীদের

এসেই উইকেট নিলেন নাসুম

এসেই উইকেট নিলেন নাসুম

ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না : মঈন খান

ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না : মঈন খান

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দৃষ্টি হারিয়েছে ৭০০, আহত ৩০ হাজার’ : স্বাস্থ্যসেবা সচিব

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দৃষ্টি হারিয়েছে ৭০০, আহত ৩০ হাজার’ : স্বাস্থ্যসেবা সচিব

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান

পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !

পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !

পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে

পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে

সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই

সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই

শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'

'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'

সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রথম আঘাত তাসকিনের

প্রথম আঘাত তাসকিনের

আধুনিক কৃষিযন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

আধুনিক কৃষিযন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

আলেম সমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ : ধর্ম উপদেষ্টা

আলেম সমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ : ধর্ম উপদেষ্টা