ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ প্রিন্সিপাল জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

 রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মো: জসিম উদ্দীন আহম্মেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। এই আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জসিম উদ্দীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুন অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিতর্কিত কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জসিম উদ্দীন আহম্মেদসহ তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে গভর্ণিং বডি। তারা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলি। তাদের তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে জসিম উদ্দীন আহম্মেদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা হয়।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অভিভাবক সদস্য কবির আহমদ ভূইয়া, মেজবাউর রহমান রতন, জসীম উদ্দিন আহমদ, আব্দুস সত্তার খন্দকার, শিক্ষক প্রতিনিধি সেগুপ্তা ইসলাম, বজলুর রহমান সাইফুল, মোয়াজ্জেম হোসেনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় গভর্ণিং বডি। পরে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ এবং তদন্তের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন জসিমউদ্দীন আহমেদ। এ পে্িরক্ষতে হাইকোর্টের ডিভিশণ বেঞ্চ সমায়িক বরখাস্ত এবং তদন্তের আবেদনের কার্যকরিতা স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে অন্তত: ৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার