দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ফরিদপুর-২ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (সদর) এর বিচারক কাঞ্চন কুমার কুন্ডু এ শোকজ নোটিশ ইস্যু করেন। নোটিশে শাহদাব আকবরকে সশরীরে কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে আগামী ১৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘শাহদাব আকবর, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। আপনি গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া বাজারের পাশে একটি বাড়িতে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, ‘আজকে আমরা দেখি, এখানে অনেক মীর জাফর। আমার বলতেও কষ্ট হয়, আপনাদের এই উপজেলার সভাপতি দেলোয়ার সাহেব, যিনি দীর্ঘসময় এই আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন, দীর্ঘসময় তিনি আওয়ামী লীগ করে এই শেষ সময়ে এসে তিনিও মোনাফেকি করলেন। তিনি কিন্তু ১৯৮৬ সালে যখন জাতীয় পার্টির ভোট কাটছিলেন, তখন কিন্তু আমি সালথা থেকে দৌড়ায় এসে তাকে দাবড়ায়ে ধানখেতে উঠায়ছিলাম। আর সেই লোকটারে আমার মা দুধকলা দিয়ে পুষেছিলেন। তিনি আজকে জায়গামতো চলে গেলেন। আজকে তিনি এদিক-ওদিক অনেক রকম কথা বলেন। ইনশাআল্লাহ একটা জুতার মালা বানাইতে দিছি। ৮ তারিখ উনার গলায় জুতার মালা দিয়া ঘোরানো হবে। বেইমানদের আপনারা চিনে রাখেন’, এরকম একটি বক্তব্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত কার্যের মাধ্যমে এই পর্যায়ে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০০৮ এর ৮(খ) ও ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।

শোকজ নোটিশে শাহদাবের বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না সেজন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ফরিদপুর-২ এর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে অথবা শাহদাবের মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, শাহদাব আকবর প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে। মায়ের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবার তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।