ভিকটিমদের বিরুদ্ধেই মামলা নিচ্ছে পুলিশ
ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ-২ আসনে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, একজন মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়। সুরাট ইউনিয়নে ঘর থেকে ধরে এনে কোপানো হচ্ছে । এভাবে ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলায় প্রায় ৫০ জন ঈগল সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১০/১৫ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ঢাকায় মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ জন। অথচ মার খেয়েও নৌকার পক্ষ থেকে তাদের নামেই মামলা করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। দেশে কি কোনো আইন কানুন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে মহুল আরো বলেন, নির্বাচন ও রাজনীতি সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করা সুযোগ সৃষ্টি করে। সে কারণে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেখলাম ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডুর বিভিন্ন গ্রামে ঈগল প্রতিকের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছে। তাদেরকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। যারা ভিকটিম পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নিচ্ছে। প্রতিটি হামলা সুপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন।
ঝিনাইদহ-২ আসনে নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহতদের নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ পৌরসভা সংলগ্ন ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহুল। সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, জাহেদী ফাউন্ডেশনের বন্দে আলী বোরাক, আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল ও তবিবুর রহমান লাবুসহ নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহতরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি ঝিনাইদহ সদর থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ওসি যদি এখানে থাকে তবে নির্বাচন শান্তিপুর্ণ হবে না। সুরাট ইউনিয়নের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে মহুল বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মেরাদিম মোস্তাকিম মুনির ওসি শাহিন উদ্দীনের সঙ্গেই মারামারি মিটিয়ে শহরে ফিরে আসেন। অথচ তাকেই আসামি করে মামলা করা হলো। সেই মামলা কিভাবে ওসি রেকর্ড করলেন। তিনি হুসিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, ওসি যদি তার আচরণ পরিবর্তন না করেন তবে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী থাকবেন।
তিনি ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের প্রশংসা করে বলেন, সব কাজ যদি পুলিশ সুপারকে করতে হয়, তবে সদর থানার ওসির দায়িত্বটা কি। এরপরও যদি এমন হামলা মামলা চলতে থাকে তিনি রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করবেন। তখন কিন্তু জনরোষ সামাল দিতে পারবেন না।