রাপত্তার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন,
ঢাকা শহরে পুলিশের সদস্য সংখ্যা হলো ৩৩ হাজার। আর ঢাকায় বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। পুলিশের পক্ষ থেকে, ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নগরবাসীকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু কিছু মানুষ যদি না মানে, আইন তোয়াক্কা না করে... তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তো অ্যাকশন নেয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখি না।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ডিএমপি কমিশনার থার্টি ফার্স্ট নিয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার পরও যদি কেউ ফানুস ওড়ায়, আতশবাজি ফোটায় বা অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে, তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাকশন নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হবে

প্রতি বছরই থার্টি ফার্স্ট নাইটের আগে বলা হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি বাসার ছাদেই আতশবাজি ফোটানো হয়। তাহলে নিরাপত্তার বিষয়টি কেমন থাকছে? জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ঢাকা শহরে পুলিশের সদস্য সংখ্যা হলো ৩৩ হাজার। আর ঢাকায় বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। আমরা মনে করি, পুলিশের পক্ষ থেকে, ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নগরবাসীকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু কিছু মানুষ যদি না মানে, আইন তোয়াক্কা না করে... তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তো অ্যাকশন নেয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখি না।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, যদি কাউকে বলা হয়, এটা অন্যায়, এটা করা যাবে না, ইলিগ্যাল কাজ। তারপরও আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা আইনের বাইরে গিয়ে করে থাকে। আইন মানতে চায় না। আমরা অপরাধকে অপরাধ বলছি। এরপরও অপরাধ করা হচ্ছে। আমরা যদি তথ্য পাই তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানায় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।