মুসলিম ও বাংলাদেশি জাতিসত্তার ঐক্যই মুক্তির একমাত্র পথ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত না হলে ভারত বিভক্ত করে মুসলমানদের আলাদা আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না। আর তা না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথও সুগম হতো না। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের বুনিয়াদী ভিত্তি ১৯৪৭ সালে মুসলিম জাতিসত্তার আলোকে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে সূচিত হয়েছিল যা ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। ব্রিটিশ দুঃশাসনের মূলমন্ত্র ডিভাইড এন্ড রুল নীতিতে অনুপ্রাণিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র বারবার এই ভূখ-ের প্রাণসঞ্চারী রাজনৈতিক আদর্শ ও শেষ রক্ষাকবচ মুসলিম জাতিসত্তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে যা এখনো চলছে।
১৯৫৫সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে তারা মুসলিম জাতিসত্তা আদর্শ বদলে রাতারাতি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যায়। শুরু থেকেই সরাসরি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধারণ না করার কপট এ রাজনৈতিক কৌশল সেদিন জনগণের একটি অংশকে বিভ্রান্ত করে মুসলিম জাতিসত্তার মৌলিক ধারাকে দ্বিখ-িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আজো বিভিন্ন অপকৌশলে বিরামহীন ভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করেই যাচ্ছে। কখনো তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে, আবার ক্ষমতায় বসে নিজেরাই এই ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কার্যক্রমে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে। কখনও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে করে বহিষ্কার, কখনো দেয় পুরস্কার। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া কখনও অনিবার্য, কখনও নিষিদ্ধ। কখনো করে বিনা ভোটের নির্বাচন, কখনও করে ফেলে মধ্যরাতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য এবার তারা করতে চাইছে সাক্ষীগোপাল নির্বাচন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উপর ভর করে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রক্রিয়া চালু রেখে গদিতে টিকে থাকার তাদের এহেন মরিয়া প্রচেষ্টা, আজ দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি আর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে একেবারে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। এমতাবস্থায় বহুধা বিভক্ত মুসলিম জাতিসত্তা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্যই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
আজ বাদ যোহর বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ১১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। আরো বক্তব্য রাখেন, মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোট আফতাব হোসেন মোল্লা, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, নুরুজ্জামান বাছার, মো. নূর আলম।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল গাজা, ইউক্রেন ও সুদান যুদ্ধ প্রভাবিত করবে?
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট
নাজমা মোবারেক ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে
ফুলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আ'লীগ নেতা শশধর সেন গ্রেফতার
আখাউড়ায় সংঘর্ষে আহত নয়জন, পাল্টাপাল্টি মামলা
ভারতে হলে কিভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতেন ট্রাম্প-কমলা
রংপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যু দন্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
ইবিতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে আওয়ামীপন্থীদের যত তৎপরতা
পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক
লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে ফরিদপুরে অটো চালকদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন
আটঘরিয়ার হস্তালিত তাঁতের তৈরি চাচকিয়ার লুঙ্গি এখন একটি ব্রান্ড
রংপুর মেডিকেল নতুন অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি
পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেল দেশের আরেকটি প্রতিষ্ঠান
শ্যামপুরে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ একজনের মৃত্যু
টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি
রেমিট্যান্স প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী, অক্টোবরে প্রবাসী আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার
নিরাপদ প্রজননের পরে ইলিশ আহরনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল
সঠিক আরওপি ব্যবস্থাপনা না হলে অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়বে বাংলাদেশে
ইসি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক, কমিশন গঠনে সৎ-নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ হবে’
সোনালী ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে চুক্তি