চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে তিনটি কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য, সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন। বিএনপির গুলিবিদ্ধ এক কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হলেও দুপুর ১২টার পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিশেষ করে চান্দগাঁওয়ের টেক বাজার পোল হাজী কালামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ ভোটকেন্দ্রসহ আশপাশের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় ভোট বর্জনকারীরা। এতে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরাতন চান্দগাঁও থানা, পটানিয়া গোদা, মৌলভী পুকুরপাড় এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে সকাল ৮টা থেকে কিছু সময় পরপর ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে।

দুপুর ১২টার পর পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকার হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ভোট বিরোধীরা। তারা ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না মানবো না’, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’ প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে লাটিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

এসময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা হামলার শিকার হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেলের সামনে পিছু হটে পুলিশ। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের রোধ করার চেষ্টা করে।

ঘটনাস্থলে থাকা স্ট্রাইকিং ফোর্সের পুলিশ সদস্যরা বলেন, পুলিশ বিজিবি এলে ভোটবিরোধীরা পিছু হটে গলিতে অবস্থা নেয়। পুলিশ চলে গেলেই তারা ভোটকেন্দ্রে চড়াও হচ্ছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে।

দুপুর একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘চোরের মতো গলি থেকে এসে ইট-পাটকেল ছুড়ছে। আমরা অবস্থানে আছি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন।’

পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা আশপাশের কয়েকটি গলি থেকে বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সামনে-পেছনে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে দুজন সাংবাদিকও আহত হন। দুপুর সোয়া একটার দিকে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্স ঘটনাস্থলে যায়।