গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত-সিআইডি
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম
বেইলি রোডে সংঘটিত আগুনের নেপথ্য কি তা আগামি সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে। তবে প্রাথমিকভাবে যা জানা গেছে, তা ধারণা করা যায়, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের স‚ত্রপাত হয়েছে। বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি ইতিমধ্যে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর পরেই গতকাল অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল গ্রিন কোজি কটেজ ভবন থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি। সংগ্রহ করা আলামত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সিআইডি প্রধান বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নেভায়, তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করে। সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। জানা যাবে আগুনের নেপথ্যে কী। প্রাথমিকভাবে আমরা যা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের স‚ত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন পেলেই আগুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রæয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন নিহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী, তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাÐ প্রতিরোধে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।
এদিকে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাÐে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতার ইসলাম এ তথ্য দেন। গত ১ মার্চ রাতে রমনা থানায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করছিল।
তদন্তের শুরুতেই থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন, কাচ্চি ভাই রেস্তোরার ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী