কমিশনের নামে ৮১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ফার্স্ট ফাইন্যান্সে’র অপসৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তুহিন রেজাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার উপ-পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দÐবিধির ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০,১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের অপসৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুহিন রেজা, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ট্রেজারি ও এসভিপি মোহাম্মদ সবুর খান দিপু, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ শাহরুজ্জামান, তানজিমুল মুকতাদির, সিনিয়র অফিসার মো: মুকিত হোসেন ও মো: মাইনউদ্দিন এবং অফিসার মাহবুবুর রহমান।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রদিষ্ঠান ফার্স্ট ফাইন্যান্সের তৎকালিন এমডি তুহিন রেজা ২ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কমিশনের অগ্রিম টাকা উত্তোলন করে গেছেন। অবৈধ ও বেআইনি কমিশন বাণিজ্যের নামে ওই টাকা পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তুহিন রেজা ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে উন্নয়ন খাত দেখিয়ে উত্তোলন করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক কতৃত্বে প্রতিষ্ঠান থেকে ওই টাকা ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য অপ্রিম কমিশন হিসেবে উত্তোলন করলেও এর বিপরীতে তিনি এক টাকাও ডিপোজিট সংগ্রহ করতে পারেননি।
ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের অফিসিয়াল ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য কমিশন হিসেবে বিভিন্ন সময়ে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার, ৫ লাখ, ৭ লাখ, ৮ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি, ২, ১১, ১২ ও ১৯ মার্চ, ২ জুন ও ৩০ জুলাই এবং ২০২১ সালের ১৮ ও ২৩ ফেব্রæয়ারি, ১ মার্চ, ৯ মার্চ, ৪ এপ্রিল, ২১ মার্চ ও ২৫ মার্চ কমিশন হিসেবে ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য কমিশন হিসেবে অগ্রিম টাকা উত্তোলনের জন্য প্রতিটি সার্ভিস রিকুয়েস্ট ফর্ম পূরণ থেকে অথরাইজড করা ও কমিশনের টাকা উত্তোলনের অনুমতি পর্যন্ত কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুহিন রেজা। যেখানে অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি নেয়া হয়নি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ফার্স্ট ফাইন্যান্সের এমডি তুহিন রেজাকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনিয়ম করে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।