খাতায় লিখে রাখছি, সরকারকে সবকিছুর হিসাব দিতেই হবে : মানববন্ধনে ফারুক
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা খাতায় লিখে রাখছি, হিসাব-নিকাশ আমাদের কাছেও আছে। ১৫ বছর অত্যাচার করেছেন, জেলখানায় ১৫ জনকে মেরে ফেলেছেন, অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছেন, ২৯ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছেন। সব কিছু আমাদের মনে আছে। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। দ্বাদশ সংসদ বাতিল ও একদফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। সুতরাং এ নির্বাচন ও নতুন সরকার দেশে-বিদেশে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা। জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা, জাগপার ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, কৃষক দলের এসএম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত বছর তিনবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পরও এই ফ্যাসিবাদী সরকার কোন যুক্তিতে আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে, তা বোধগম্য নয়। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মানে কলকারখানার উৎপাদন খরচ, জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি। সাধারণ মানুষ এখন দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করলে সাধারণ জনগণ কিভাবে বাঁচবে? এই ব্যাপারে সরকারের কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। কারণ এই সরকার একটি গণবিচ্ছিন্ন সরকার। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এজন্য দেশের জনগণের উন্নয়ন কখনো তাদের মাধ্যমে হবে না।
ফারুক আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারকে বলে আসছি, গরিব মানুষ যাতে পেট ভরে খেতে পারে, সচ্ছল মানুষ যেন রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে পারে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করে না, নিজেদের হালুয়া রুটি-ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা দরকার তাই করে। কারণ তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ পেট ভরে দুবেলা ভাত খাক। তারা শুধু চায় এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য তৈরি করা হবে- যারা ব্যবসাবান্ধব হবে। ব্যবসায়ী হবে, সরকারকে টাকা দেবে।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে সরকারদলীয় সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম আরেকদফা বাড়িয়ে প্রমাণ করেছে যে, এই সরকার জনগণের নয়। অবিলম্বে সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী