প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পহেলা রমজান থেকে এক মাস বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাত: বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারকোর্ট। তবে সরকারপক্ষের করা আপিলটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সময় ধার্য রাখা হয়েছে আগামিকাল মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টায়।
আজ সোমবার বিকেলে চেম্বার জাস্টিস এম.ইনায়েতুর রহিম আপিলের ওপর কোনো প্রকার আদেশ না দিয়ে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
এ সময় সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন
সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ।
শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে। অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তপেক্ষ করতে পারে না।
এর আগে আজ (১১ মার্চ) সকালে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকারপক্ষ। গত ১০ মার্চ রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো: সাইফুজ্জামান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামিকাল বাংলাদেশে পবিত্র রমজান শুরু হবে।