সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় সরকার ব্যর্থও না, জিম্মিও না -ওবায়দুল কাদের

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ এএম

টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট ভাঙতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় সরকার ব্যর্থতা নয় বলেই মনে করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধুু ডলারের দাম না...., সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়।
বাজার ব্যবস্থা বিশ্বের কোথায় ভালো নেই এমন উল্লেখ করে ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজার পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভালো নেই। সস্তায় সুলভে সবকিছু এটা মনে করার কারণ নেই। সারা বিশ্বে বাজার পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ সময় বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙবে। আসলে এর সঙ্গে কারা জড়িত এটা খতিয়ে দেখার বিষয় আছে। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, ক্ষমতায় যেতে হাহাকার করছে, এই সিন্ডিকেট তাদের হতাশা থেকে হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজারে দ্রব্যম‚ল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এখানে সক্রিয় আছে, নিষ্কিয় নেই। কাজ তো করে যাচ্ছি, এক সময় ফল আসবে। কাজে, আন্তরিকতায়, চেষ্টায় কোনও কমতি নেই। তাহলে ফল আসবে না কেন?

পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাংলাদেশে পরিবহনের চাঁদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন?

ড.ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো নিবিঢ় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে, এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপর বাইরের কারো তো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।

এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজির দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কী হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী?

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এ্যাড. আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বিজিবির নিরাপত্তায় ট্রেনে জ্বালানি তেল পরিবহন

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

বাংলাদেশে সহিংসতা প্রসঙ্গে মমতা, ‘আমাকে শেখাবেন না, বরং আপনারা শিখুন’

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

চোটজর্জর বার্সাকে নিয়ে চিন্তিত ফ্লিক

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগে দারুণ প্রবৃদ্ধি চীনে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারো মানুষকে

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

জন্মভূমির বিপক্ষে মুরের ফিফটি, মাডান্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি