হেলিকপ্টার থেকে ডলার ফেলার পরই জাহাজ থেকে নেমে পড়ে সোমালি নৌদস্যুরা
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
সোমালিয়ার নৌদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশে সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। জানা গেছে হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে ডলার ফেলার পরই নাবিকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে কত ডলার মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার নৌদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। নিজ দেশের উপকূলে নেওয়ার নয় দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ।
জানা গেছে, মুক্তিপণের ডলার বুঝে পাওয়ার পর দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে পড়ে। এরপর মুক্তির আনন্দ নিয়ে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দস্যু কবলিত এলাকা থেকে বন্দরের উদ্দেশে চলতে শুরু করে। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠা নাবিকেরা সেজদায় অবনত হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করেন। মুক্তির সুসংবাদ জানিয়ে দেন দেশে অপেক্ষায় থাকা বাবা মা স্ত্রী স্বজনদের। সব নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়ে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেছেন, জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়েছিল। এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারী অস্ত্রধারী দস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকের অক্ষত অবস্থায় মুক্তির খবরে তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে পৌঁছার পরে তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে। জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান দস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি
মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়
ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম
মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন : কেজরিওয়াল
রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হইচই
‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ
সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু
ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক
স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা
বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু
ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার
যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা
সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
পানির সংকট
নীতি ও দুর্নীতির লড়াই
শিক্ষা ব্যবস্থার ভয়াল দশা
মামলাজট কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে