উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা ও সভা সমাবেশে অংশ নেয়ায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকে লিখিতভাবে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আরিফ পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মহসীন স্বাক্ষরিত দলীয় পৃথক প্যাডে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। বার্তা পাওয়ার পরও তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে দলের প্রাথমিক পদসহ আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা লিখিত সতর্ক বার্তা দেয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
উপজেলা বিএনপির লিখিত বার্তা-প্রাপ্ত নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, উপজেলা বিএনপির সদস্য লফিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি, উপজেলা বিএনপির প্রচার বিষয়ক সহসম্পাদক তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার, গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, বহুরিয়া ইউনিয় বিএনপির সাবেক সভাপতি আকরাম মল্লিক, ভাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তপন হাসান খান, উয়ার্শী ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আওকাত হোসেন খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ শিকদার, ফতেপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী রবি, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য আব্দুল কাদের, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফাহাদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনসহ ২০ নেতা।
লিখিত সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেনা এবং ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেনা। সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। উপজেলা ও পৌর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তার সঙ্গে সভা সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই সকল নেতাকর্মীদের লিখিত সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নির্দলীয় ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলার সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিত আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তবে আমাকে কোন সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে দলের সকলের উদ্দেশ্যে একটি লিখিত সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোন নেতা নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করে তবে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।