প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মাসদার হোসেনের সাক্ষাত
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ এএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ এএম
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মামলার অন্যতম বাদী অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মাসদার হোসেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি সাক্ষাৎ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আলোচিত ‘মাসদার হোসেন মামলা’র রায়ে উন্মোচিত হয় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দ্বার। অধস্তন আদালতের বিচারকদের ‘সিভিল সার্ভিসের সদস্য’ গণ্য না করে একটি পৃথক সার্ভিস হিসেবে গণ্য করা হয় এ রায়ে। বিখ্যাত সেই মাসদার হোসেন মামলায় আবেদনকারী বিচারকদের পক্ষে বিনা ফি’তে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। প্রখ্যাত এই আইনজীবীর পুত্র আজকের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মাসদার হোসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের অবদানের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, স্বপ্রণোদিতভাবে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। আইনি সহায়তার মাধ্যমে তিনি যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন সেই অবদানকে আজও জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যগণ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বিশেষ করে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের বøু-প্রিন্ট প্রস্তুত থাকার তৎকালিন রাজনৈতিক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করেনি। চট্টগ্রামে এক সফরে গিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ জীবদ্দশায় পৃথক বিচার বিভাগ দেখে যাওয়ার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছিলেন বলে স্মৃতিচারণ করেন মাসদার হোসেন। এরই সূত্রধরে গত ২১ সেপ্টের প্রধান বিচারপতি তার অভিভাষনে বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেন। ঘোষিত রোডম্যাপে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণে রূপরেখা ফুটে উঠেছে। এ কারণে প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান মাসদার হোসেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রধান বিচারপতির হাত ধরেই বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ চূড়ান্তরূপে বাস্তবায়ন হবে।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঘোষিত হয় আলোচিত ‘মাসদার হোসেন মামলা’র রায়। কিন্তু পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারগুলো সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায় বাস্তবায়নে আন্তরিকতা দেখায়নি। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালিন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক ঘোষণা করেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করেন। জুডিসিয়াল সার্ভিন কমিশন বিধিমালা,২০০৭ প্রণয়ন করেন। গঠিত হয় পৃথক ‘জুডিসিয়াল সার্ভিস’। ২১ সেপ্টেম্বর অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথিকীকরণের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তুলে ধরেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নেইমারক নিয়ে দুঃসবাদ দিলেন হিলাল কোচ
২১ দিনের যুদ্ধবিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র-ইইউসহ ১১ দেশ
পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে পরমাণু নীতিতে বদল আনছে রাশিয়া
দেশে শতভাগ নবায়যোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি
গণমানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির আদর্শ : শফিকুর রহমান
সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, জয় লেখক রাব্বানী সাদ্দামসহ ছাত্রলীগের ৬৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
তরুণরাই নতুন বাংলাদেশ গড়বে: ড. ইউনূস
সোনালি ব্যাগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত কেন?
ফ্যাসিবাদের ধারক-বাহক মিডিয়া সংস্কার করা জরুরি
জাতিসংঘে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তুলে ধরছেন ড. ইউনূস
ভারতে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের সলিল সমাধি
মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির নিতেশ রানেকে গ্রেফতার দাবীতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
দুর্বল ব্যাংকগুলো ধার পাচ্ছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা
জাবিতে সপ্তাহব্যাপী নাট্যপার্বণ শুরু শনিবার
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
পবিপ্রবিতে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম
গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের
প্রথমবার তাইওয়ান প্রণালীতে জাপানের যুদ্ধজাহাজ
চীনে রাশিয়ার গোপন যুদ্ধ ড্রোন প্রকল্প চালু