অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতাই কি দেশে ফেরাবে শেখ হাসিনাকে?
০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতে রয়েছে তিনি।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে আওয়ামী লীগ নিষ্ক্রিয়। ইতোমধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সেই সরকার এবং সরকারের সমর্থকরা তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখী করতে চাইছেন। তবে ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তাতে এই মুহূর্তে তাকে দেশে ফেরত আনা যে প্রায় অসম্ভব, তা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও সরকারের সমর্থকরাও জানেন।
শেখ হাসিনা যখন দেশ ত্যাগের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ সবার মধ্যে এমন একটি ধারণা দৃঢ় ছিল যে ৭৫ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বাকি জীবন কাটবে নির্বাসিত অবস্থাতেই। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী ফলাফল দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার এমন নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ফেরা আর সম্ভব হবে না।
তবে সম্প্রতি এই ধারণা বা বিশ্বাস ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাওয়ার অবস্থাও তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির যে নেতৃত্বশূন্যতা, সেটিই এক সময় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার পথ এবং রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।
নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং বাংলাদেশের নাগরিক মোবাশ্বের হাসান এ প্রসঙ্গে টাইম সাময়িকীকে বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার বৈধতা রয়েছে, জনসমর্থনও রয়েছে; কিন্তু এই সরকার নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। এই সরকারের কোনো ম্যান্ডেট নেই। শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে এই দুর্বলতাকে ব্যবহার করে এক সময় দেশে ফিরে আসতে পারবেন। এটা কেবলই সময়ের অপেক্ষা।
যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানও এমনটা মনে করেন। টাইম সাময়িকীকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন শুধু সম্ভবই নয়, খুবই সম্ভব। কারণ পরিবারতন্ত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যুগ যুগ ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় এটি চলে আসছে। মাত্র একটি বাংলাদেশে এই সংস্কৃতির অবসান ঘটবে— এমনটা প্রত্যাশা করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, তারপরও হয়তো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেত, যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হত। কিন্তু দেশটির যে রাজনৈতিক বাস্তবতা, তাতে এটি একেবারেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। -টাইম সাময়িকীর বিশ্লেষণ
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ন্যায্য মূল্যে বরগুনায় কেনা দামে পন্য বিক্রি
প্রকল্প নেওয়ার আগে সাধারণ জনগণের মতামত নিতে হবে ইসিকে
কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে সীসা কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, জরিমানা ৬ লক্ষ টাকা
মুন্নি-তাপস রঙ্গলীলা; দুর্নীতি ও নারী সাপ্লাইয়ের ইতিকথা।
উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বৈধ, হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে রায় সুপ্রিম কোর্টের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ সম্পর্কে যে ৭টি তথ্য জানা প্রয়োজন
ভূমি রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সমন্বিতকরণের তাগিদ
কমলা-ট্রাম্প,কার জয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে?
বিশ্বের শীর্ষ ১৫ ধনীর তালিকা থেকে ছিটকে গেলেন আম্বানি-আদানি
ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারবে না সরকার, ঐতিহাসিক রায় ভারতে
১৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ট্রাম্পের সামনে
গোদাগাড়ীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে শীতের আগাম সবজিতে চাষির মুখে হাসির ঝলক,
জাভা সমুদ্রে ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার যৌথ নৌ-মহড়া শুরু
কানাডায় মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থিদের, গ্রেপ্তার তিন
সড়কের স্পিড ব্রেকারে ইন্ডিকেটর দিল জাবি ছাত্রদল
জুড়ীর ফুলতলা সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ বিজিবির হাতে যুবলীগ নেতা আটক
শাহজাদপুরে যানজটে জনদুর্ভোগ চরমে!
মনোহরগঞ্জে উত্তর হাওলা ইউনিয়ন বাসীর ভোগান্তির অবসান ঘটালো যুবদল
কুমিল্লা দেবিদ্বারে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ২০
আইওয়ার দিকে সবার নজর কেন ?