ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে: প্রেসিডেন্ট
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে আবহমানকাল থেকেই পালন করে আসছে। একটি বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠুক একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ, বিশ্ব এগিয়ে যাক শান্তি, কল্যাণ আর আলোর পথে– এবারের বড় দিনে এ আমার একান্ত প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী। এই দিনেই পৃথিবীতে তার আগমন ঘটে। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন। যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। যিশু খ্রিষ্ট সর্বদা মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের জন্য ভক্তদের পরামর্শ দিতেন। মন্দের বিনিময়ে কারো মন্দ না করে সব মানুষের দৃষ্টিতে যা উত্তম, ভেবে-চিন্তে তাই করার জন্য ভক্তদের পরামর্শ দিতেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ যুদ্ধ-বিগ্রহ পূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠুক একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ, বিশ্ব এগিয়ে যাক শান্তি, কল্যাণ আর আলোর পথে– এবারের বড় দিনে এ আমার একান্ত প্রত্যাশা। শুভ বড়দিন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে– এ কামনা করি।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি. ক্রুজ, ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র্যান্ডেল এবং প্রেসিডেন্টের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বড়দিনের একটি কেক কাটেন।
পরে প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা