মূল্যস্ফীতি কমলেও সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি
০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম
০ সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০.৮৯ শতাংশ
০ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৯২ শতাংশ
০ গড় মূল্যস্ফীতি ১০.৩৪ শতাংশ
০ ২০২৩ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ
দেশে ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এটি এখনও সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি রয়ে গেছে। নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে কমে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কমেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশে পৌঁছেছে। যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। যদিও এই হারে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে, তবে এখনও এটি দুই অঙ্কের মধ্যে থাকার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ডিসেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির এই তথ্য প্রকাশ করে।
ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে সেই একই ধরনের পণ্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৮৯ পয়সা।
বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮। এই তথ্য অনুসারে, পুরো বছরজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের জনগণ চাপের মধ্যে ছিল। এছাড়া, বিবিএস জানায়, গ্রামীণ এলাকাগুলোতে মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় বেশি ছিল, এবং ডিসেম্বরে গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহরের চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। বিবিএসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৩৮ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশ ছিল। যদিও ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তা সত্তে¡ও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশের তুলনায় কিছুটা কম। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর শেষে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা গত নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বিবিএস জানিয়েছে, ডিসেম্বর শেষে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত পঞ্জিকা বছরের ডিসেম্বরে মজুরি হার বেড়েছে। এ মাসে সার্বিক মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা গত নভেম্বরে ছিল ১ দশমিক ১০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব খাতেই বেড়েছে মজুরি হার। কৃষি খাতে মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে শিল্প খাতে মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সেবা খাতেও মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যা গত নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের
ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ
আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ
পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি
বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন
বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-
মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান
৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি
ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী
ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস
সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের
‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত
সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
আওয়ামী সরকারের অসহযোগীতায় ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা সম্ভব হয়নি : রাষ্ট্রদূত
বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ, ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
এবি পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনি বিতর্ক