প্রশাসনে ১৯৪ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট ও বিতর্কিত ২৪তম ব্যাচ প্রশাসন ক্যাডারের যে সকল অফিসার যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদোন্নতির আদেশে উল্লেখিত কর্মস্থল হতে কোনো কর্মকর্তার দপ্তর বা কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম বা
ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট ও বিতর্কিত ২৪তম ব্যাচ প্রশাসন ক্যাডারের যে সকল অফিসার যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তারা হলেন, ড. চিত্রলেখা নাজনীন, পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার (প্রাক্তন জেলা প্রশাসক রংপুর) শ্রাবন্তী রায়, উপসচিব, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জামালপুর), সাহেলা আক্তার, উপসচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, (প্রাক্তন জেলা প্রশাসক শেরপুর), মোঃ অলিউর রহমান, উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, (প্রাক্তন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা), মনিরা বেগম, উপসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, (সাবেক
জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা), আবু সালেহ মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ, অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার (হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রাক্তন পিএস), একেএম মনিরুজ্জামান, উপসচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসন), ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিএস (চট্টগ্রামের প্রাক্তন মেয়র আ জ ম নাসিরের পিএস), মোঃ আমিনুর রহমান,
উপসচিব, স্রেডা (হাসিনার প্রাক্তন নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদের প্রাক্তন পিএস) শাব্বির ইকবাল, উপসচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ), মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা (প্রাক্তন ইউএনও সদর, ফরিদপুর ও হাসিনার বেয়াই মোশাররফের ঘনিষ্ঠ সহচর), কামরুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস (প্রাক্তন পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের পিএস), আবুল হাসান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পিএস (আওয়ামী লীগের
সুবিধাভোগী হজ অফিসার হিসেবে জেদ্দায় পদায়িত ছিলো), মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ (আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হজ অফিসার হিসেবে জেদ্দায় ও রাজউকের পরিচালক হিসেবে পদায়িত ছিলো), ড. মাসুমা পারভীন, ওএসডি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (অস্ট্রেলিয়াতে স্বামী ও পরিবার নিয়ে সিটিজেন হয়েছেন এবং থাকেন মেলবোর্নে), জান্নাতুন নাঈম, উপসচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (হাসিনা সরকারের পুরো সময় বঙ্গভবনে চাকরি করেছেন), মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, উপসচিব, ইআরডি (হাসিনার সুবিধাভোগী হিসেবে বেইজিং দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে পদায়িত ছিলো)।
মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, উপসচিব, অর্থ বিভাগ (হাসিনা সরকারের মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর পিএস), আফরোজা আক্তার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক, জয়পুরহাট (নারায়ণগঞ্জ সদরের প্রাক্তন ইউএনও এবং শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ), অহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, মাগুরা (হাসিনার সুবিধাভোগী হিসেবে মরিশাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে পদায়িত ছিলো), মুহাম্মদ রেজা ই রাব্বী, শ্রম কাউন্সিলর, সৌদি আরব (হাসিনা সরকারের সময়ে দুই দফায়
সৌদি আরবে মোট ৮ বছর), লায়লা মুন্তাজেরি দীনা, কাউন্সিলর, লিসবন, পর্তুগাল (হাসিনা সরকারের সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পদায়িত)।