চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মো. আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরীঘাটা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এর চার ঘণ্টা আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নুর মোস্তফাকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অল্প সময়ে দুটি খুনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনির আহমদ বলেন, আলমগীর হোসেন চৌধুরীঘাটা এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। তার ভাই জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গতকাল রাত ১০টার দিকে আলমগীর দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করে বাড়ির পাশের মুরগির খামার এলাকায় ফেলে যায়। পথচারীরা আলমগীরের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হবে। সুরতহালে লাশের গলায় ছুরির দাগ পাওয়া গেছে। কোনো বিরোধের জেরে আলমগীর হোসেনকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে উপজেলার বারইয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামে নুর মোস্তফা বজল (৫০) নামে এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। তিনি পশ্চিম লালানগর গ্রামের ‍মুজিবুল হকের ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বজল বারইয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বজলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার মামাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম। বাড়ির অদূরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তৌহিদুল ও তার সঙ্গীরা বজলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তৌহিদুল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় চারটি ডাকাতি, চুরি ও মাদকের মামলা আছে। এলাকায় থাকে না। তার সঙ্গে ফুপাতো ভাই বজলের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এলাকায় ফিরে তৌহিদুল পরিকল্পিতভাবে বজলকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। আমরা তৌহিদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।