‘মুফতি নিয়োগ : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’
১০ মে ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম | আপডেট: ১১ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
৪ : ০৬ : অবশ্য এক্ষেত্রে ( উরফ ও তা‘আমুল তথা দেশাচারের ব্যাপারটি বিশেষভাবে জড়িত। আর তা হল, আরব বিশ্বে যেমন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন মুফতীকে‘মুফতিউল-হুকুমাহ্’ বা ‘মুফতিউর-রছমিয়াহ’ বা ‘মুফতিউল-মামলাকাহ্’ বা ‘মুফতিউদ-দিয়ার’ এবং ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ ইত্যাদি পদবী-শিরোনামে অভিহিত করা হয়, ডাকা হয় বা বলা হয়। তেমনটি বা তেমন দেশাচার বা প্রচলন আমাদের এ উপমহাদেশ অঞ্চলে গড়ে উঠেনি।
৪ : ০৭ : এই প্রচলন গড়ে না উঠার বাস্তব কারণও আছে। কেননা আমাদের জানা মতে, আমাদের এ অঞ্চলে অখন্ড ও অবিভক্ত ভারতের সময়কালেও যেমন আজকালকালকার অনুরূপ প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ‘মুফতী’ ছিলেন না বা সেই সুযোগ বা তেমন সৃজনকৃত রাষ্ট্রীয় কোন পদই ছিল না। একইভাবে ভারত-পাকিস্থান ভাগ হয়ে যাওয়ার পরও অবিভক্ত পাকিস্থানেও তেমন কোন রাষ্ট্রীয় পদ ও নিয়োগ কোনটাই ছিল না।
০১ : ৫ : বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘মুফতী’ ও নিয়োগ : কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে (সুযোগ্য সচিব মহোদয়-এন‘আম কমিটি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন ও চাহিদা মাফিক(তারই অধীনস্থ সর্ব বৃহৎ জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর জন্যে), যার অধীনে ‘জাতীয় মসজিদ’ বায়তুল মোকাররমও অন্তর্ভুক্ত এবং সেখানে সারাদেশ থেকে নিয়মিত প্রচুরসংখ্যক জনগণ ফাতওয়া-ফারাইয গ্রহণ প্রয়োজনে এসে থাকেন; অথচ সৃজনকৃত কোন ‘মুফতী’ পদবী ও বিধি মোতাবেক ‘নিয়োগ প্রাপ্ত’ কোন বিজ্ঞ ও প্রাতিষ্ঠানিক মুফতী না থাকায় জাতীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ, (বিশেষত দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ) যুগ যুগ ধরে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছিলেনÑ তেমন এক পরিস্থিতিতেÑ সর্ব প্রথম একইসঙ্গে ‘মুফতী’, ‘মুহাদ্দিস’ ও ‘মুফাসসির’ এই তিনটি পদ সৃজন করা হয় এবং তা অনুমোদিত হয়; যদিও পদগুলোতে নিয়োগের কাজ ১৫-২০ বছর পরে সম্পন্ন হয়।
০১ : ৬ : পদ-সৃজন ও নিয়োগ প্রসঙ্গ :
বাস্তবতার নিরীখে একজন নিয়োগপ্রাপ্ত মুফতির প্রচন্ড প্রয়োজনের তাগিদে বার বার মৌখিক ও লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। এক পর্যায়ে তেমন সুযোগ আসার পর ইফা’র তৎকালীন পরিচালক ও কর্তৃপক্ষের আভ্যন্তরীণ পরামর্শ মোতাবেক এমন সিদ্ধান্ত স্থিরীকৃত হয় যে, যদিও সাধারণ জনগণের প্রয়োজনে অফিসের অধিক ও বাস্তব মূল চাহিদা ‘ফাতওয়া ও ফারাইয’ এর; তারপরওÑ
১. একেতো, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে,
২. দ্বিতীয়ত, কিংবা সাধারণ জনগণের প্রয়োজন নেই বটে, কিন্তু আমাদের (ইফা’র) হাদীস ও তাফসীর বিষয়ক যেসব বই-পুস্তক প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলোর ভুল-শুদ্ধ চিহ্ণিত করণের প্রয়োজনে, রিভিউ-সম্পাদনার (পদ সৃজন ও নিয়োগের দলীলেও তা-ই রয়েছে) প্রয়োজনে এক একজন মুহাদ্দিস, মুফাসসির এরও প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না;
৩. তৃতীয়তো, যেহেতু দীর্ঘদিনের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা মতে, ‘মুফতী’ নিয়োগের বাস্তব প্রয়োজনে, ‘পদ সৃজন’ এর একটা সুযোগ এসেছে; তাই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুফতি’র পাশাপাশ মুহাদ্দিস ও মুফাসসির পদ-দু’টিও অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হয়।
০১ : ৭ : বাংলাদেশের সরকার, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় ধন্যবাদ ও দোয়া প্রাপ্তির অধিকারী
তারপরও, অকপটে ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বলা যায়: এটি একদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুফল এবং অপরদিকে এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সরকার, রাষ্ট্র, জনগণ ও উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকগণ মুখে যা-ই বলুক, ধর্ম-কর্ম কমবেশী যা-ই পালন করুক; এঁরা মনে-প্রাণে ধর্মকে ভালোবাসে, ধর্মীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা ও উন্নতি-অগ্রগতিকে পছন্দ করে।
০১ : ৮ : পূর্বাপরের জানাশোনা ‘ফাতওয়া শাখা’ গেল কোথায়?
উল্লেখ্য, ‘বায়তুল মোকাররম’ জাতীয়ভাবে মুসলমানদের আস্থার প্রাণকেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্ব সাধারণ জনগণ ব্যাপকহারে সাধারণত ব্যবহারিক জীবনের মাসআলা, ফাতওয়া ও ফারাইয জানার জন্য এবং লিখিতভাবে প্রামাণ্য ও প্রয়োজনীয় একটা কিছু পাওয়ার নিমিত্তে দূর-দূরান্ত থেকে আসতো। হাদীস-তাফসীর জানার জন্য সাধারণত এখানে সাধারণ জনগণ বা অলেমগণের কেউ তখনও আসতো না এবং এখনও আসে না। যে কারণে, এ তিনটি পদ সৃষ্টির পূর্ব থেকেই, ‘দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ’ এর অধীনে একটি স্থায়ী ‘ফাতওয়া শাখা’ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর জন্মের পর থেকেই) অস্থায়ী ও অনিয়োগ প্রাপ্ত ‘মুফতী’/ইমাম/খতীব প্রমুখের দ্বারা কার্য পরিচালনা করে আসছিলেন। আমার নিয়োগের পরও তিন বছর (২০০৮ পর্যন্ত) এই ‘ফাতওয়া শাখা’র সিল-মোহর ও ফাইল-রেজিস্টারের মাধ্যমেই অধম ‘ফাতওয়াদানের কাজ’ চালু রেখেছিলাম।
এরই মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ‘ফাতওয়া’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ও তাচ্ছিল্য করে ‘ফাতওয়াবাজি’ শিরোনামেলেখালেখি ও জজকোর্ট-হাইকোর্ট- সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত মামলা-মুকাদ্দামা গড়ানো শুরু হলে, আমার অজান্তেই এক পর্যায়ে ইফা’র মুহাদ্দিস ও মুফাসসির তৎকালীন মহাপরিচালক জনাব ফজলুর রহমান স্যারের সঙ্গে যুক্তি ও পরামর্শ করে ‘ফাতওয়া শাখা’র নাম পরিবর্তন করে ‘হাদীস ও তাফসীর শাখা’ শিরোনামে মনোগ্রাম পরিবর্তন করিয়ে নেন। অথচ বাস্তব চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী‘ফাতওয়া শাখা’র অনুরূপ ‘হাদীস ও তাফসীর শাখা’র শিরোনামে এখানে কোন ‘শাখা’ বা ‘বিভাগ’ এর প্রয়োজন তখনও ছিল না, এখনও নেই; এবং মনোগ্রাম ও পদের বিপরীতে দেখানো ও অর্পিত দায়িত্বের কোন মূল কাজও অফিস তাঁদের দ্বারা নিচ্ছে না। অথচ যেটির প্রয়োজন ছিল, তার পথ গোড়াতেই বন্ধ করে দেয়া হল!
০১ : ০৯. তাতে সমস্যা কোথায়?
০৯ : ০১ : শুধু সমস্যাই নয় বরং বিরাট সমস্যার জন্ম হয়েছে এভাবে যে, ১৯৬২ সালে বায়তুল মোকাররমের জন্মলগ্ন থেকে এখানে ফাতওয়া-ফারাইযদানের যে রীতি ও কাস্টম এবং দেশের মানুষের চাহিদা ও আশা-আকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, সেটি বাস্তবে এখনও রয়েছে; কিন্তু অফিসিয়াল খাতাপত্রে, কাগজ-কলম-মনোগ্রামে সেই সাবেক ‘ফাতওয়া শাখা’র কোন প্রমাণ বা অস্তিত্ব না থাকায় নতুন নতুনভাবে আগত পরিচালক ও মহাপরিচালকগণকে বিষয়টি বুঝিয়ে নেয়া যাচ্ছে না যে, দেশের বৃহত্তর জনগণ ও তাদের চাহিদা মোতাবেক, বর্তমান বাস্তবতার নিরীখে পূর্ব থেকে চলমান ‘ফাতওয়া শাখা’কে নূন্যতম বিবেচনায় হলেও, ‘ফাতওয়া বিভাগ’ আকারে উত্তীর্ণের বিকল্প নেই।
০৯ : ০২ : চাহিদার বিস্তৃতি : পূর্ব থেকে ধারাবাহিক চলমান চাহিদা ও প্রয়োজনের বাইরেও, দেশের ১৬ কোটি মুসলমান জনগণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা’র ৬৪টি অফিস. প্রধান কার্যালয়সহ ৭টি বিভাগীয় ‘ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি’, ৫৬০টি মডেল মসজিদ এর প্রয়োজনে, এমনকি প্রতিটি উপজেলা পর্যায়েও বিধি মোতাবেক এক একজন মুফতি’র নিয়োগদান অনিবার্য হয়ে পড়েছে। যেন এ বিশাল জনগোষ্ঠির ব্যবহারিক জীবনের প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় মাসআলা-বিধান জানার প্রয়োজনে, লিখিত সমাধানদানে এবং উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত ক্ষেত্রবিশেষে প্রশাসন, সরকারকে ও আদালতকে সহযোগিতা প্রদান করা যায়; এবং শরীয়তবিশেষজ্ঞমুফতী ব্যতীত অপর কেউ বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ না হয়েও মাসআলা-বিধান বা ফাতওয়া দিতে না যান এবং তেমন সুযোগ না থাকে। কেননা জাগতিক অপরাপর বিদ্যা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণের অনুরূপÑ অধিকাংশ আলেমগণ শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড পালন না করার কারণেই দেশের মুসলিম জনগণ যেমন বিরোধ-বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত; একইভাবে বৃহত্তর পরিসরে তাঁরা নিজেরাও দলাদলি ও আত্ম-কলহে লিপ্ত। তার কারণ, এঁরা কেউ কাউকে বা অন্যজনকে মানতে রাজি নন।
০১ : ১০ : আরব-অনারব বিশে^র প্রচলন-উদাহরণ :
অথচ ভাবার মত বিষয়! আরব বিশ্বের বলতে গেলে সব দেশেই, এমনকি যাঁরা নিজেদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও সাংবিধানিকভাবে নিজেদেরকে ‘ধর্ম-নিরপেক্ষ’ রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয় দেয় সেই তাঁরাও অর্থাৎ বিশ্ববিখ্যাত জামে আযহারের দেশেও মুফতী, গ্র্যান্ড মুফতী এসব পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং রাষ্ট্রীয় ‘আদালত ও ফাতওয়া বিভাগ’ একসঙ্গে পাশাপাশি চলমান।
আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হল, দীর্ঘকালব্যাপী তৎকালীন কমিউনিষ্ট শাসিত সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত রাশিয়ার মুসলিম দেশগুলোতেও সেই পূর্ব থেকেই ধর্ম মন্ত্রণালয় বলতে কেবল‘এদারায়ে মুফতিয়াত’কে বোঝানো হত এবং ‘এদারা বা দফতরে মুফতিয়াত’ বলতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বোঝানো হত Ñযা পূর্ববৎ এখনও বহাল আছেÑঅর্থাৎ ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়’ মানেই মুফতির অফিস; আর ‘মুফতির অফিস’ মানেই ধর্ম মন্ত্রণালয়। অথচ কত উথ্থান-পতন, নির্যাতন-নিষ্পেষণ তাঁরা পার করে এসেছেন।
০১ : ১১ : প্রশাসনিক স্ট্যাটাস্ ও ‘মুফতি’ এর স্তর- শ্রেণি
এ পর্যায়ে আমরা আরব বিশ্বের সুশৃঙ্খল ও মোটামুটি শক্তিশালী একটি দেশ জর্ডানকে সামনে রেখে আরেকটু এগিয়ে যেতে পারি। জর্ডানে রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগে অপরাপর প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক, নির্বাহী, সামরিক ও বেসামরিক সকল পদের পাশাপাশি ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ পদটিও বিদ্যমান। উপরন্ত এই‘গ্র্যান্ড মুফতী’ পদটিও সিনিয়র-জুনিয়র হিসাবে চারটি স্তর বা পর্যায়ে শ্রেণিবিন্যাসকৃত বা সাজানো-সেটিংকৃত। পাশাপাশি এঁদের চারজনের মধ্যে কার স্ট্যাটাস্ কোন্ পর্যায়ে পরিগণিত এবং কার স্বাক্ষরের প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন কতটুকু? তা-ও সেই দেশের সামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের গ্র্যান্ড মুফতির লেখা বই থেকে জানা যায়। যেমন অনুবাদ :
“চতুর্থ অনুচ্ছেদ : (নিয়োগপ্রাপ্ত) মুফতীর শ্রেণী :
যে মুফতীগণ ফাতওয়াদান কর্মে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন, তাঁরা চার প্রকার হয়ে থাকেন:
০১ : ১২ : নিয়োগপ্রাপ্ত মুফতিগণ :
১২ : ০১ : “প্রথম শ্রেণী : যিনি মহান আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন ও তাঁর প্রিয় হাবীব (সা)-এর সুন্নাহ এবং সাহাবাকিরাম এর বাণীসমূহের বিশেষজ্ঞ আলেম হন; তেমন মুফতী উদ্ভূত বিষয়াদির বিধানের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ হয়ে থাকেন। যে কোনো প্রকারের বা বিষয়ের বিধানই হোক তাতে তিনি শরীয়তের দলীল-প্রমাণ সমন্বয় করে থাকেন (এবং নতুন বিধান স্পষ্ট করেন)। তাঁর এ নতুন বিষয়ে কখনও কখনও গবেষণা করার দ্বারা তাঁর অন্য কোনো ইমামের তাকলীদ বা অনুসারী হওয়ার তাই আপনি গবেষক ইমামদের এমন কাউকে পাবেন না যিনি তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী কাউকে, কোনো না কোনো বিধানে অনুসরণ (তাকলীদ) করেননি। ইমাম শাফেয়ী (র) হজ সংক্রান্ত একটি স্থানে বলেছেন, “এ বিধানটি আমি হযরত আতা (র)-এর অনুকরণে বলছি”। অর্থাৎ তিনিও ক্ষেত্রবিশেষে মুকাল্লিদ।
সুতরাং এ শ্রেণীভুক্ত যাঁরা হবেন তাঁদের পক্ষে ফাতওয়া দান কর্মের দায়িত্ব পালন করা যথার্থ হবে; এমন কারও কাছে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করা যাবে এবং এঁদের দ্বারাই ফরযে-কেফায়ার দায়িত্ব যথাযথ সম্পাদিত হবে। (চলবে)
লেখক: মুফতী আবদুল্লাহ, মুফতী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাইখালীতে পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা
বাঘায় রত্নগর্ভা হাসনা-হুদা দম্পতির ১২ সন্তান উচ্চ শিক্ষায় সফল
শহীদ জিয়ার মিঠাছড়া খাল খননে হাজারো কৃষকের ভাগ্য খুলেছিল ' - মীর হেলাল
ঝিনাইগাতীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটিসহ ৪ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
গফরগাঁওয়ে ভিজিডির ৫১ বস্তা চুরি
গোলাপগঞ্জে মাদক সেবনের অপরাধে দুই জনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড
ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঢাকাকে উড়িয়ে আসর শুরু রংপুরের
নিজ জমিতে যাওয়া হলো না সিলেটে এক ব্যবসায়ীর : হামলা করলো যূবদলনামধারী ভূমিখেকো চক্র
প্রতারণার দায়ে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে সমন জারি
রেকর্ড পুনরুদ্ধার করে শাহিদির ২৪৬, রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তানও
‘ইসলাম প্রচার প্রসারে সউদী সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে’
টেলিটকের দুটি স্পেশাল ডাটা প্যাকেজের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার: প্রেস সচিব
এসিআই লিমিটেড ২০ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে
এবার ছাত্রদল সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কোয়ালিফাইয়ারের বাধা টপকাতে চায় রংপুর
খুশদিলের শেষের ঝড়ে রংপুরের বড় সংগ্রহ
চোখের চিকিৎসায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা