আল কোরআন : তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সে মানুষের সাথে শিশুকালে ও পরিণত বয়সে (একভাবে) কথাবার্তা বলবে এবং (আল্লাহর) পুণ্যবান বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মারয়াম আরজ করলেন, হে আমার পরয়ারদিগার! কি করে আমার ছেলে সন্তান হবে? কেউ তো আমার গায়ে হাতও লাগায়নি। ইরশাদ হল, এভাবেই আল্লাহ যা চান পয়দা করেন, তিনি যখন কোন কাজ করার ইচ্ছা করেন তখন শুধু বলেন, হও, সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে যায়। (সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ৪৫, ৪৬, ৪৭)।
এরপর বিস্তারিতভাবে হযরত ঈসা (আ:)-এর জন্মের কথা উল্লেখ করে বেশকিছু ছোট ছোট বিষয়ও উল্লেখ করেছেন যে, কিভাবে হযরত জিব্রাঈল (আ:) আগমন করলেন এবং তিনি রূহ ফুঁৎকার করলেন, মারয়াম (আ:) গর্ভবর্তী হলেন, প্রসবের সময় হযরত মারয়াম (আ:)-এর কষ্ট হল, কোরআনুল কারীম তার কষ্টের কথাও উল্লেখ করেছে এবং তার মেয়েলীসুলভ লজ্জার কথাও তুলে ধরেছে। তারপর আল্লাহপাকের হুকুমে যখন তিনি নির্জনতায় চলে গেলেন, সে কথার বর্ণনাও পেশ করেছে। তারপর এই বর্ণনাও উপস্থাপন করেছে যে, কিভাবে কষ্ট দূর করার জন্য আল্লাহপাক ঝর্ণনার শীতল পানির ব্যবস্থা করলেন, তরতাজা খেঁজুর দান করলেন, যা ভক্ষণ করাতে কষ্ট দূর হয়ে গেল। এমনকি জন্ম মুহূর্তের কথাও উল্লেখ করেছেন। হযরত ঈসা (আ:)-এর জন্মের পর সদ্যপ্রসূত শিশুকে নিজের সম্প্রদায়ের নিকট নিয়ে গেলেন। কোরআনুল কারীম লোকজনদের নিন্দা ও কটু মন্তব্যের কথাও উল্লেখ করেছে এবং মাতৃক্রোড়ে হযরত ঈসা (আ:)-এর কথা বলার ঘটনাও বর্ণনা করেছে। এই সকল ঘটনার কথা আল- কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এভাবে বর্ণনা করেছেন। সূরা মারয়ামের ১৬নং আয়াত হতে ৩৫ নং আয়াত পর্যন্ত ইরশাদ হয়েছে :
আর স্মরণ কর এই কিতাবে উল্লিখিত মারয়ামের কথা, যখন সে তাঁর পরিবারবর্গ হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল। তারপর তাদের হতে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে পর্দা করল। তারপর তাঁর নিকট আমার দূত রুহুল আমীনকে প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। মারয়াম বলল, তুমি যদি আল্লাহকে ভয় কর তবে আমি তোমা হতে দয়াময়ের আশ্রয় গ্রহণ করছি। সে বলল, আমি তো কেবল তোমার প্রতিপালক প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করবার জন্য। মারয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই? সে বলল এরূপই হবে, তোমার প্রতিপালক বলেছেন, ইহা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি একে এই জন্য সৃষ্টি করব যেন সে মানুষের জন্য এক অনুগ্রহ হয়, ইহা তো এক নির্ধারিত ব্যাপার। তারপর সে তাকে গর্ভে ধারণ করল এবং পরে তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর বৃক্ষতলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। সে বলল, হায়! এর পূর্বে যদি আমি মরে যেতাম ও মানুষের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম। ফেরেশতা তার নি¤œপার্শ্ব হতে আহ্বান করে তাকে বলল, তুমি দু:খ করো না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন, তুমি তোমার দিকে খেজুর বৃক্ষের কা-ে নাড়া দাও, ইহা তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দান করবে। সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও, মানুষের মধ্যে কাউকে যদি দেখ তখন বলোÑ আমি দয়াময় আল্লাহর উদ্দেশ্যে মৌনতা অবলম্বনের মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে বাক্যালাপ করব না। তারপর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হল। তারা বলল, হে মারয়াম! তুমি তো এক অদ্ভুত কা- করে বসেছ। হে হারুন ভগ্নী, তোমার পিতা-অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ব্যভিচারিণী ছিল না। তারপর মারয়াম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করল, তারা বলল, সে কোলের শিশু, তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব? সে বলল-আমি তো আল্লাহর বান্দাহ, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে। আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করেছেন এবং আমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হয়েছে, যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব। এই হচ্ছে মারমায় তনয় ঈসা, আমি বললাম, সত্য কথা, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে। সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়, তিনি পবিত্র মহিমাময়, তিনি যখন কিছু স্থির করেন, তখন বলেন হও, এবং ইহা হয়ে যায়। (সূরা মারয়াম : আয়াত- ১৬-৩৫)।
প্রসঙ্গত : অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই যে, ইহুদী, খৃস্টান, মুশরিক ও সুস্পষ্ট মুনাফিক শ্রেণীর একদল প-িত বিশেষজ্ঞ, আল্লামা বা ওলামা নামধারী খ্যাতিমান পুরুষ, এমনকি কল্প-কাহিনীর লেখক ও গল্পকারও সদম্ভে বলে বেড়াচ্ছেন যে, খাতিমুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদা মোস্তফা আহমাদ মুজতাবা (সা:)-এর জন্ম বৃত্তান্ত ও জীবনচরিত সম্পর্কে আল-কোরআনে কিছুই বলা হয়নি। সুতরাং মীলাদুন্নবী (সা:)-এর বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তাদের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ এই যে, আপনারা এতসব জ্ঞানের শাখা-প্রশাখায় বিচরণ করেছেন, যার দরুন দুনিয়ার মানুষ আপনাদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের নজরে দেখেছে এবং দেখবে। কিন্তু এতকিছুর পরও আপনারা জ্ঞানলাভের দৃষ্টিতে আল-কোরআনকে পাঠ করেননি কেন? আল-কোরআনের বাণীসমূহের হাকীকতের সন্ধান করেননি কেন? কেন এ কথা অনুধাবন করার চেষ্টা করেননি যে, সমগ্র কোরআনে পিয়ারা নবী তাজদারে মদীনা মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর জীবনচরিত বিবৃত হয়েছে এবং অনেক আয়াতে কারীমায় তাঁর বেলাদত ও জন্ম বৃত্তান্ত বিধৃত আছে। প্রকৃত সত্যকে মিথ্যার বেড়াজালে আটকানোর বৃথা চেষ্টা পরিহার করে মূল সত্যকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে নিতে আপনারা সচেষ্ট হোন এবং সত্যের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে প্রয়াসী হোন। অন্যথায় আপনাদের মিথ্যাচার ও দম্ভোক্তি আপনাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর কোন ব্যত্যয় হবে না।
পূর্ববর্তী পৃষ্ঠাসমূহে আমরা মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:) শিরোনামে ওই সকল আম্বিয়াগণের ‘মীলাদনামা’ বর্ণনা করেছি, যাদের মীলাদ পাঠকারী স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত। কোরআনুল কারীমে সেই আম্বিয়ায়ে কেরামের মীলাদনামা বয়ান করার উদ্দেশ্য এই যে, আম্বিয়ায়ে কেরামের বেলাদতের ঘটনাবলী, তাদের কামালাত ও বারাকাত এবং তাদের উপর আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের এনায়াত, অনুগ্রহ বর্ণনা করা, সুন্নাতে ইলাহীয়া যা আল্লাহর বিধানের অন্তর্ভুক্ত এবং সেগুলোকে বারবার উল্লেখ করা কোরআনুল কারীমের লক্ষ্য। এ পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থিত হতে পারে যে, হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর পূর্ববর্তী আম্বিয়া কেরামের উল্লেখ তো কোরআনুল কারীমে করা হয়েছে, তবে কি হুজুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর জন্মের কথাও আল কোরআনে রয়েছে? এর উত্তর হ্যাঁ সূচক। কোরআনুল কারীমে হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর জন্মের কথাও বিবৃত হয়েছে।
কোরআনুল কারীম গভীর দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করলে একথা সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত কোরআনুল কারীমে স্বীয় বরগুজিদাহ আম্বিয়া কেরামের বেলাদতের কথা উল্লেখ করে তাদের শান ও মর্যাদাকে বুলন্দ করেছেন। এগুলোই হচ্ছে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)। যদি কোরআনুল কারীমের আয়াতসমূহের অর্থের উপর চিন্তা করা হয়, গবেষণা করা হয়, তাহলে বুঝা যাবে যে, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত ইমামুল আম্বিয়া, রাহমাতুল্লিল আলামীন হুজুর রহমতের আলম (সা:)-এর পূর্ববর্তী যতজন আম্বিয়া (আ:)-এর কথা উল্লেখ করেছেন তা তাদের বেলাদতের কথা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু যখন হুযুর রাসূলে আকরাম (সা:)-এর উল্লেখ করেছেন তা এতখানি শানে এমতিয়াজের সাথে করেছেন যে, তাঁর বেলাদতের সম্পর্কের কারণে শুধু কেবল তাঁর জন্মগ্রহণের শহরটিই সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়নি, বরং তাঁর পিতা ও দাদাদের মর্যাদাও বর্ধিত হয়েছে। তাইতো আল্লাহপাক তাঁর এবং তাঁর পিতা ও পিতৃপুরুষদের কসম খেয়ে আল- কোরআনে ইরশাদ করেছেন :
“না; অবশ্যই আমি এই শহরের শপথ করছি, আপনি এই শহরে তাশরীফ এনেছেন। আর আপনার পিতা (আদম অথবা ইব্রাহীম আ:)-এর শপথ, আর তাদের শপথ যারা জন্মগ্রহণ করেছেন।” (সূরা বালাদ : আয়াত-১-৩)।
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা মক্কা শহরকে শপথ করার উপযোগী এজন্য সাব্যস্ত করেননি যে, সেখানে বাইতুল্লাহ আছে, হাজরে আসওয়াদ, মাতাফ, হাতীম, মুলতাজাম, মাকামে ইব্রাহীম, যমযম কুয়া, সাফা-মারওয়া, ময়দানে আরাফাত, মিনা এবং মুজদালেফা আছে। বরং শপথ করার কারণ কোরআনুল কারীমের দৃষ্টিকোণ থেকে এই যে, এই শহর মাহবুবে রাব্বুল আলামীন (সা:)-এর বেলাদতের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা লাভের মর্যাদা লাভ করেছে। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালা মক্কা শহরের শপথ এজন্য করেছেন যে, এই শহর পিয়ারা নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর জন্মভূমি ও আবাসভূমি। তারপর স্বীয় মাহবুব রাসূল (সা:)-এর সমস্ত পিতৃপুরুষদের শপথ করেছেন। এ পর্যায়ে একথাটি কতই চিন্তার বিষয় যে, বরং তিনি কেবল একজন সত্তার জন্যই এতসব শপথ করেছেন, তিনি হচ্ছেন নূরনবী মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ (সা:)। হুজুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর বরকতময় আবির্ভাবের কথা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত কোরআনুল কারীমের বিভিন্ন স্থানে এভাবে করেছেন :
১। এভাবেই আমি তোমাদের মধ্যে হতেই তোমাদের জন্য স্বীয় রাসূল প্রেরণ করেছি। (সূরা বাকারাহ : আয়াত-১৫১)।
২। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা মুমিনীনদের উপর বড় ইহসান করেছেন যে, তাদের মধ্য হতে মর্যাদাপূর্ণ একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত-১৬৪)।
৩। হে লোকসকল! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট এই রাসূল তোমাদের পরওয়ারদিগারের পক্ষ হতে সত্যসহ তশরীফ আনয়ন করেছেন। সুতরাং তোমরা নিজেদের মঙ্গলের জন্য ঈমান আনয়ন কর। (সূরা নিসা: আয়াত-১৭০)।
৪। হে আহলে কিতাব! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আমাদের (এই) রাসূল আগমন করেছেন, যিনি তোমাদের সম্মুখে এমন সব কথা (বিস্তৃতভাবে) প্রকাশ করেছেন, যা তোমরা কিতাব হতে লুকিয়ে রাখতেছিলে এবং তোমাদের অনেক কথা ক্ষমা করেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর তরফ হতে এক নূর (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সা:) আগমন করেছেন এবং এক রওশন কিতাব (অর্থাৎ কোরআন মজিদ)। (সূরা মায়েদাহ : আয়াত-১৫)।
৫। হে আহলে কিতাব! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আমার রাসূল শেষ আমার রাসূল শেষ জামানায় পয়গম্বরের আগমনের (সিলসিলা) বন্ধ হওয়ার (প্রাক্কালে) আগমন করেছেন, যিনি তোমাদের জন্য (আমার আহকাম) সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছেন, (এ জন্য) যে, তোমরা (ওজর প্রকাশ করতে গিয়ে এই কথা) বলে দিবে যে, আমাদের নিকট না কোন খোশখবরিদাতা আগমন করেছে, না ভীতি প্রদর্শনকারী এসেছে। (এখন তোমাদের এই ওজর প্রকাশ ও শেষ হয়ে গেছে, কেননা) নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট (আখেরী) খোশখবরিদাতা এবং ভীতি প্রদর্শনকারীও এসে গেছেন এবং আল্লাহপাক প্রত্যেক বস্তুুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা মায়েদাহ : আয়াত-১৯)।
৬। নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হতে (এক মর্যাদাপূর্ণ) রাসূল আগমন করেছেন, তোমাদের কষ্ট ও ও বেদনায় পতিত হওয়া তার উপর খুবই ভারী মনে হয়, (হে লোকসকল!) তিনি তোমাদের জন্য (মঙ্গল ও হেদায়েতের) বড়ই প্রত্যাশী এবং মুমিনীনদের জন্য খুবই মেহেরবান। (সূরা তাওবাহ : আয়াত -১২৯)।
৭। এবং (হে মর্যাদাপূর্ণ রাসূল!) আমি তোমাকে প্রেরণ করিনি কিন্তু সকল পৃথিবীর জন্য রহমতস্বরূপ। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত-১০৭)।
৮। তিনিই (আল্লাহ) যিনি অশিক্ষিত লোকদের মধ্যে তাদেরই মধ্য হতে একজন (মর্যাদাপূর্ণ) রাসূলকে প্রেরণ করেছেন। তিনি তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ পড়ে শোনান এবং তাদেরকে (জাহের ও বাতেনকে) পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন, নিশ্চয়ই তারা তাঁর আগমনের পূর্বে প্রকাশ্য গোমরাহিতে লিপ্ত ছিল। (সূরা জুমআ: আয়াত-২)।
৯। নিশ্চিয়ই আমি তোমাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করেছি। (সূরা মুজ্জাম্মিল : আয়াত-১৫)।
(চলবে)
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন
শীতের দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি স্থবির খুলনা শহুরে জীবন