ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪ মাঘ ১৪৩১

প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ

Daily Inqilab আ.ক.ম মোজাম্মেল হক

২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৪ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের (সেই সময়ের জয়দেবপুর) বীর জনতা গর্জে উঠেছিল এবং সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। মনে পড়ে, মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলিতে বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের কথা। ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ দুপুরে হঠাৎ এক বেতার ভাষণে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন। একথা শোনা মাত্রই সারাদেশের মানুষ স্বতঃফূর্তভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়ে এ ঘোষণার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। দেশের সর্বত্রই স্লোগান উঠে ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা-বাংলা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা , পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’।

বঙ্গবন্ধু ঢাকায় পূর্বানী হোটেলে এক সভায় ইয়াহিয়ার ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং ঢাকায় ২ মার্চ এবং সারাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ৩ মার্চ হরতাল আহবান করেন এবং ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা আহবান করেন।

জয়দেবপুরে (্আজকের গাজীপুর) আমার পরামর্শে ২ মার্চ রাতে তৎকালীন থানা পশুপালন কর্মকর্তা আহম্মেদ ফজলুর রহমানের সরকারি বাসায় তৎকালীন মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব উল্ল্যাহ এক সর্বদলীয় সভা আহবান করেন। সভায় আমাকে (আ.ক.ম মোজাম্মেল হক) আহবায়ক করে এবং মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খানকে কোষাধ্যক্ষ করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এক সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। সদস্য হন আয়েশ উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম (ভাওয়াল রতœ), মো. আ. ছাত্তার মিয়া (চৌরাস্তা) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হজরত আলী মাস্টার (চৌরাস্তা), মো. শহীদ উল্ল্যাহ বাচ্চু, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, শহিদুল ইসলাম পাঠান জিন্নাহ, শেখ আবুল হোসেন (শ্রমিকলীগ), থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সাঈদ বকস্ ভূঁইয়া। কমিটির হাই কমান্ড (উপদেষ্টা) হন মো. হাবিব উল্ল্যাহ, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা এম, এ, মুত্তালিব এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নেতা বাবু মনিন্দ্রনাথ গোস্বামী।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পূর্বেই আমরা এ কমিটি গঠন করেছিলাম। পেছনের ইতিহাস এই যে, আমি ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ‘স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস’-এর সাথে সম্পৃক্ত হই। নিউক্লিয়াসের উদ্দ্যেশ্য ছিল, সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা, যা মূলত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৬২ সালেই ছাত্রলীগের মধ্যে গঠিত হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যেই সশস্ত্র যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে বাঙালি সৈন্যদের মধ্যেও নিউক্লিয়াস গঠিত হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, যার বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্ব-ঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের দায়ের করা ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান’ মামলায়, যা বিখ্যাত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সাথে জড়িত থাকার কারণেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবার এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ। জয়দেপুরে (গাজীপুরে) সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ৩ মার্চ গাজীপুর স্টেডিয়ামের পশ্চিম পার্শে¦র বটতলায় এক সমাবেশ করে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়। স্লোগান উঠে ‘ইয়াহিয়ার মুখে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। পতাকা ধরেছিলেন হারুন ভূঁইয়া এবং অগ্নিসংযোগ করেছিলেন শহীদউল্যাহ বাচ্চু আর স্লোগান মাস্টার আ. ছাত্তার মিয়া পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন।

আমরা ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী (তৎকালীন রেসকোর্স) উদ্যানে সে সময় জয়দেবপুর (গাজীপুর) থেকে আমরা হাজার মানুষ ট্রেনে করে এবং শতাধিক ট্রাক ও বাসে করে মাথায় লাল ফিতা বেঁধে জনসভায় যোগ দিলাম। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। আজকে ভাবতেও অবাক লাগে কীভাবে এ জন¯্রােত এসে মিশে গিয়েছিল ৭ মার্চের মহাসমুদ্রে। ৭ মার্চে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সম্ভবত ১১ মার্চ গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানা (অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি) আক্রমণ করি। গেইটে বাধা দিলে আমি হাজার হাজার মানুষের সামনে টেবিলে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করি মাইকে। পাকিস্তানিদের বুঝতে পারার জন্য ইংরেজিতে বলি ‘ও ফড় যবৎবনু ফরংসরংং ইৎরমধফরবৎ কধৎরসঁষষধয ভৎড়স ঃযব ফরৎবপঃড়ৎংযরঢ় ড়ভ চধশরংঃধহ ঙৎফহধহপব ঋধপঃড়ৎু ধহফ ফড় যবৎবনু ধঢ়ঢ়ড়রহঃ অফসরহরংঃৎধঃরাব ড়ভভরপবৎ গৎ অনঁফঁষ ছধফবৎ (বাঙালি) ধং ঃযব ফরৎবপঃড়ৎ ড়ভ ঃযব ড়ৎফহধহপব ঋধপঃড়ৎু’. এই গর্জনে সত্যি কাজ হয়েছিল। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার বক্তৃতা চলাকালীনই পেছনের গেইট দিয়ে সালনা হয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে আসেন। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার আর পরবর্তীতে ১৫ এপ্রিলের পূর্বে গাজীপুরে যায়নি। পাকিস্তান সমরাস্ত্র কারখানা ২৭ মার্চ পর্যন্ত আমাদের দখলেই ছিল। সম্ভবত ১৩ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি সাহেবজাদা ইয়াকুব আলী জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে হেলিকপ্টারে অবতরণ করতে চেষ্টা করলে শত শত মানুষ হেলিকপ্টারে ইট-পাটকেল ও জুতা ছুড়তে শুরু করলে হেলিকপ্টার না নামতে পেরে ফেরৎ চলে যায়।

সেদিন ১৭ মার্চ বুধবার, মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জনতার ঢল নেমেছিল ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তৎকালীন আমাদের নির্বাচনী এলাকার এম, এন, এ সামসুল হক (পরবর্তী কালে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্য) ও হাবিব উল্ল্যাহসহ আমি গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুকে জয়দেবপুরে ২ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার সংবাদ দিতে। সন্ধ্যায় আমরা পেছনে দাঁড়িয়ে আছি দেখতে পেয়ে কিছু বলতে চাই কিনা বঙ্গবন্ধু জানতে চান। কুর্মিটোলা (ঢাকা) ক্যান্টনমেন্টে অস্ত্রের মজুদ কমে গেছে অজুহাতে ২ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে রক্ষিত অস্ত্র আনার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত নেবার সংবাদ জানাই। শামসুল হক সাহেবের ইশারায় আমি তরুণ হিসেবে এ অবস্থায় আমাদের কী করণীয় জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ব্যাঘ্রের ন্যায় গর্জে উঠে বললেন, ‘তুই একটা আহাম্মক, কী শিখেছিস যে আমাকে বলে দিতে হবে’। একটু পায়চারী কের বললেন ‘বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে দেয়া যাবে না।’ ‘জবংরংঃ ধঃ ঃযব পড়ংঃ ড়ভ ধহুঃযরহম’ নেতার হুকুম পেয়ে গেলাম। ১৯ মার্চ শুক্রবার আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগ্রেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরস্থ (গাজীপুর) ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। একজন জেসিও (নায়েব সুবেদার) জয়দেবপুর হাই স্কুলের মুসলিম হোস্টেলের পুকুরে (জকি স্মৃতির প্রাইমারি স্কুলের সামনে) গোসল করার সময় জানান যে, ঢাকা থেকে ব্রিগ্রেডিয়ার জাহান জেব চলে এসেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের তখনকার আবাসস্থান মুসলিম হোস্টেলে ফিরে গিয়ে উপস্থিত হাবিবউল্ল্যা ও শহিদুল্ল্যাহ বাচ্চুকে এ সংবাদ জানাই। শহীদউল্ল্যাহ বাচ্চু তখনই রিকশায় চড়ে শিমুলতলীতে, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, ডিজেল প্লান্ট ও সমরাস্ত্র কারখানায় শ্রমিকদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে জয়দেবপুরে চলে আসার খবর দিলে ১ ঘণ্টার মধ্যে মাঠেই হাজার হাজার শ্রমিক চারিদিক থেকে লাঠিসোঁটা, দা, কাতরা, ছেন, দোনালা বন্দুকসহ জয়দেবপুর উপস্থিত হয়। সেদিন জয়দেবপুর হাটের দিন ছিল। জয়দেবপুর রেল গেইটে মালগাড়ীর বগি, রেলের অকেজো রেল লাইন, স্লিপারসহ বড় বড় গাছের গুড়ি, কাঠ, বাঁশ, ইট ইত্যাদি যে যেভাবে পেরেছে তা দিয়ে এক বিশাল ব্যারিকেড দেয়া হয়। জয়দেবপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত আরো ৫টি ব্যারিকেড দেয়া হয়, যাতে পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে ফেরৎ যেতে না পারে। ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মেজর কে, এম, শফিউল্লাহ (পরবর্তী কালে সেনাবাহিনী প্রধান)। আমরা যখন ব্যারিকেড দিচ্ছিলাম তখন টাঙ্গাইল থেকে রেশন নিয়ে একটি কনভয় জয়দেবপুর আসছিল। সে রেশনের গাড়িকে জনতা আটকে দেয়। সে কনভয়ে থাকা ৫ জন সৈন্যর চাইনিজ রাইফেল তাদের নিকট থেকে কেড়ে নেয়া হয়।

এ দিকে রেল গেইটের ব্যারিকেড সরানোর জন্য ২ ইস্ট বেঙ্গলের রেজিমেন্টকে বিগ্রেডিয়ার জাহান জেব আদেশ দেয়। কৌশল হিসেবে বাঙালি সৈন্যদের সামনে দিয়ে পেছনে পাঞ্জাবী সৈন্যদের অবস্থান নিয়ে মেজর শফিউল্লাহকে জনতার উপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেয়। বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জনতার উপর গুলি না করে আকাশের দিকে গুলি ছুড়ে সামনে আসতে থাকলে আমরা বর্তমান গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উপর অবস্থান নিয়ে বন্ধুক ও চাইনিজ রাইফেল দিয়ে সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষণ শুরু করি।

পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে জয়দেবপুরে শহীদ হন নেয়ামত ও মনু খলিফা, আহত হন চতরের সন্তোষ, ডা. ইউসুফসহ শত শত মানুষ। পাক বাহিনী কার্ফু জারি করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে আমাদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। আমরা পিছু হটলে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে ব্যারিকেড পরিষ্কার করে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব চান্দনা চৌরাস্তায় এসে আবার প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হন। নামকরা ফুটবল খেলোয়াড় হুরমত এক পাঞ্জাবী সৈন্যকে পেছন দিয়ে আক্রমণ করে। আমরা সৈন্যদের রাইফেল কেড়ে নেই। কিন্তু পেছনে আর এক পাঞ্জাবী সৈন্য হুরমতের মাথায় গুলি করে। হুরমত সেখানেই শাহাদাৎ বরণ করে। বর্তমানে সেই স্থানে চৌরাস্তার মোড়ে ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ নামে ভাস্কর্য স্থাপতি হয়েছে।

পরদিন বঙ্গবন্ধু আলোচনা চলাকালে পাক বাহিনীর আক্রমণে ১৯ মার্চের নিহতের কথা উল্লেখ করলে জেনারেল ইয়াহিয়া খান উল্লেখ করে যে, জয়দেবপুর জনতা পাক বাহিনীর উপর আধুনিক অস্ত্র ও চাইনিজ রাইফেল দিয়ে আক্রমণ করেছে এবং এতে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক সৈন্য আহত হয়েছে।

১৯ মার্চের পর সারা বাংলাদেশে স্লোগান উঠে, ‘জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘জয়দেবপুরের পথ ধর-সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু কর।’

১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাজীপুরবাসীর উদ্দেশ্যে এক পত্রে ১৯ মার্চের সশস্ত্র প্রতিরোধের সময় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জয়দেবপুরবাসীকে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৯ মার্চের শহিদসহ সকল অংশগ্রহণকারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এ সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাওয়ায় নিজকে গৌরবান্বিত মনে করি।

১৯ মার্চের সশস্ত্র যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক মাইল ফলক। জয়দেবপুরের গৌরবগাঁথা ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করার দাবিতে গাজীপুরের সর্বস্তরের জনতা আবেদন জানিয়ে আসছে। ১৯ মার্চকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে পালিত হলে, মুক্তিযুদ্ধের সূচনার ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে বলে আমি মনে করি।

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জিয়ার বাংলাদেশ
শহীদ জিয়ার বিএনপির সাথে কি আজকের বিএনপির মিল আছে?
জিয়াউর রহমানের রাজনীতি
ফিরে দেখা রাজশাহী ২০২৪
বিচারবিভাগ ওলটপালটের বছর
আরও

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত মা

নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত মা

কর্মবিরতি : সারা দেশে বন্ধ হলো ট্রেন চলাচল

কর্মবিরতি : সারা দেশে বন্ধ হলো ট্রেন চলাচল

ইউরো জেতানো দে লা ফুয়েন্তে ২০২৮ পর্যন্ত স্পেনের কোচ

ইউরো জেতানো দে লা ফুয়েন্তে ২০২৮ পর্যন্ত স্পেনের কোচ

সিলেটকে হারিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে গেল রাজশাহী

সিলেটকে হারিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে গেল রাজশাহী

টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ

রূপালী ব্যাংকের ‘রূপালী ই-ব্যাংক’ অ্যাপ উদ্বোধন

রূপালী ব্যাংকের ‘রূপালী ই-ব্যাংক’ অ্যাপ উদ্বোধন

বেলকুচিতে ব্রোকলি চাষে সাফল্য

বেলকুচিতে ব্রোকলি চাষে সাফল্য

সালথায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা : তিনজন কারাগারে

সালথায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা : তিনজন কারাগারে

তাহসিনের পাশে বিসিবি

তাহসিনের পাশে বিসিবি

তামাক কোম্পানির ফাঁদে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ; প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

তামাক কোম্পানির ফাঁদে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ; প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

জিরা চাষে স্বপ্ন দেখছেন গোদাগাড়ীর কৃষকরা

জিরা চাষে স্বপ্ন দেখছেন গোদাগাড়ীর কৃষকরা

ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত

ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত

দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি, নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ: কাহের শামীম

দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি, নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ: কাহের শামীম

হাতিয়ায় বন্দোবস্তকৃত ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি

হাতিয়ায় বন্দোবস্তকৃত ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি

আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন, সচিব হাসনাইন তৌফিক

আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন, সচিব হাসনাইন তৌফিক

শৈশবের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার

শৈশবের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

পাকুন্দিয়ায় ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি

পাকুন্দিয়ায় ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি

পঞ্চগড়ে চার বিচারকের অপসারণ দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

পঞ্চগড়ে চার বিচারকের অপসারণ দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

ময়মনসিংহে আস্থা লাইফের ব্যবসায়িক সভা

ময়মনসিংহে আস্থা লাইফের ব্যবসায়িক সভা