ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানোর বিকল্প নেই

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম

২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে আমদানি হয়েছে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রিজার্ভ ও মার্কিন ডলারের সংকটের কারণে অনেক পণ্যের উপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারী করার পরও এই পরিমাণ আমদানি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আমদানির পরিমাণ আরো বেশি হতো। দেশে চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বহু পণ্য আসার পরিমাণও অনেক। অপরদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট রফতানির পরিমাণ হচ্ছে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যার ৪৫.৭০% নিটওয়্যার, ৩৭.৬৬% ওভেন গার্মেন্টস, ১.৮৫% চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ১.৩৫% হোম টেক্সটাইল, ১.২২% কৃষিপণ্য ও বাকি ১% অন্য পণ্য)। সে মতে, ওই অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চোরাচালানের মাধ্যমে আসা পণ্য তো রয়েছেই। আগে-পরে অর্থবছরের অবস্থাও প্রায় একই। অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রধানত আমদানিনির্ভর দেশ! তাই দেশে ব্যবহৃত সামান্য তেলাপোকা মারার ওষুধও বিদেশ থেকে আনতে হয়! কৃষির ব্যাপক উপযোগী ও কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। তাই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১৫%। সম্প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে ডলারের মূল্য আরো বেড়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে পণ্যমূল্যও বেড়েছে! অন্যদিকে, কর-জিডিপির হারও বিশ্বের মধ্যে নিম্ন। তাই দেশের সার্বিক ও কাক্সিক্ষত উন্নতি হচ্ছে না। যেটুকু উন্নতি হচ্ছে, তা প্রধানত অবকাঠামো ভিত্তিক ও ঋণনির্ভর। বর্তমানে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির প্রায় ৬৫%, যা পরিশোধ করা কঠিন। উপরন্তু এসডিজি বাস্তবায়ন, শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংক খাত ভঙ্গুর, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সর্বোপরি এলডিসি উত্তরণের সংকট আসন্ন। যার অন্যতম হচ্ছে, বাণিজ্য ও ঋণ সুবিধা বন্ধ। এসব সংকট মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থে কাক্সিক্ষত উন্নতি করতে হবে। সে জন্য আমদানি কমানো ও রফতানি বাড়ানোর জাতীয় নীতি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যাপক সুযোগও রয়েছে। যেমন: দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৭-১৮ মেট্রিক টন। তন্মধ্যে মাত্র পৌনে এক লাখ মেট্রিক টন দেশে উৎপাদিত হয়। এতে বছরের ২ মাসের মতো চিনিকলগুলো চালু থাকে। বাকি সময় বন্ধ থাকে। ফলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, চাহিদার বাকি চিনি আমদানি করতে হয়। তাই চিনির মূল্য অত্যধিক হয়। দ্বিতীয়ত: আমদানিকৃত চিনি সুগারবিটের তৈরি। দেশে সুগারবিট উৎপাদনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। খবরে প্রকাশ, ‘বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা দেশের মাটিতে সফলভাবে সুগারবিট উৎপাদন করেছেন। সুগারবিট থেকে আখের চেয়ে কম সময়ে চিনি উৎপাদন করা সম্ভব’। তাই দেশের সর্বত্রই সুগারবিট চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উপরন্তু যেসব কৃষক সরকারি ঋণ নিয়ে আখ চাষ করে, তাদেরকে আখের সাথে সুগারবিট উৎপাদন করা বাধ্যতামূলক বলে ঋণের শর্তে যুক্ত করা হলে সুফল পাওয়া যাবে। দেশে উৎপাদিত পাটের পরিমাণ বিপুল, মানও ভালো। তবুও দুর্নীতি ও পরিচালনা অদক্ষতার কারণে ব্যাপক লোকসানের অজুহাতে সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা বেকার হয়েছে। এছাড়া, পাটের মূল্য কমে গিয়ে কৃষকের গলার ফাঁস হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পাটকলগুলো চালু আছে লাভজনকভাবেই। এই অবস্থায় দেশের সরকারি পাটকলগুলোর দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ এবং পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি করে দ্রুত চালু করা দরকার। তাহলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে ও কৃষকের উন্নতি হবে। পাট পণ্যেরও রফতানি বাড়বে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ক্রমশ পাট পণ্যের চাহিদা বাড়ছে বিশ্বব্যাপীই। উপরন্তু দেশের সব পাটকলে পাট দিয়ে সোনালি ব্যাগ তৈরি বানিয়ে বাজারজাত করে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তাহলে দেশের পরিবেশের ব্যাপক উন্নতি হবে। চামড়ার ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। দেশের পশুর চামড়ার উৎপাদন বিপুল, মানও উৎকৃষ্ট। বেঙ্গল গোট তো বিশ্বের মধ্যে সর্বোত্তম। তবুও দেশে চামড়ার পণ্য উৎপাদন নগন্য! তাই আমদানি করতে হয়। অথচ বাংলাদেশের চামড়া বহু দেশে গিয়ে সেখানে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে অনেক লাভ করছে। এ প্রেক্ষিতে কাঁচা চামড়া রফতানি বন্ধ করে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করে দেশে ব্যবহার ও রফতানি করতে হবে। তাতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। এভাবে রফতানিতে কাক্সিক্ষত বৈচিত্র্যকরণ সম্ভব হবে।
দেশে কখনো কখনো কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন চাহিদার অতিরিক্ত হয়। ফলে তার মূল্য অনেক কমে যায়। তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তারা পরবর্তীতে উক্ত ফসল ফলায় না। তখন সংশ্লিষ্ট পণ্যের ঘাটতি বেড়ে যায়, যা আমদানি করে পূরণ করতে হয়। তাতে মূল্য অধিক হয়। তাই খাদ্য পণ্যের সার্বক্ষণিক সঠিক চাহিদা নিরূপণ করে পরিকল্পনা মাফিক ফসল ফলাতে হবে। তাহলে এ দুর্গতির অবসান হবে। তবে, এ ক্ষেত্রে সর্বদা অধিক উৎপাদনশীল বীজ ব্যবহার করতে হবে। কারণ, দেশের কৃষি পণ্যের উৎপাদন হার বৈশ্বিকভাবে খুব কম। ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার তথ্য মতে, ২০২১ সালে গরু প্রতি মাংসের পরিমাণ বৈশ্বিক গড় ২১৮ কেজি, বাংলাদেশে ৭১ কেজি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বর্তমানে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন বাংলাদেশে ২.৭৪ টন, জাপানে ৫ টন, চীনে ৬.৫ টন, ভিয়েতনামে ৫.৮৪ টন’! দেশের কৃষির বাকি পণ্যের অবস্থাও তথৈবচ! কারণ, অধিক উৎপাদনশীল বীজ ব্যবহার না করা। সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, ‘মোট জমির হাইব্রিডের আবাদ হচ্ছে- বাংলাদেশে ১০% আর চীনে ৬০%’। তাই দেশের সব কৃষি জমিকে রক্ষা ও ফসল ফলাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না রাখতে সবার প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। উপরন্তু শতভাগ জমিতে সর্বদা সর্বাধুনিক হাইব্রিড এবং অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ, বন্যা, খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সহিষ্ণু বীজ ব্যবহার করতে হবে। দেশ-বিদেশে অর্গানিক ফুডের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তাই এদিকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সর্বোপরি কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস এবং কৃষককে স্বল্প সুদে চাহিদা মাফিক ঋণ দিতে হবে। তাহলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন অনেক বাড়বে। তাতে চাহিদা পূরণ হয়ে রফতানিও হবে অনেক।

উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণের অভাবে বিপুল পরিমাণে নষ্ট হয়ে ঘাটতি সৃষ্টি হয়, যা আমদানি করে পূরণ করতে হয়। তাই সব কৃষিপণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে হবে। সব ধরনের ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং কারখানাও তৈরি করতে হবে। তাহলে দেশে উৎপাদিত ফল নষ্ট হবে না। ফলে মানুষ ফল উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহী হবে। তখন ফলের চাহিদা পূরণ হবে। বিপুল ব্যয়ে আমদানি করতে হবে না। সর্বোপরি দেশের কৃষি ব্যবস্থা এখনো প্রধানত সেকেলেই রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে, নষ্টও হচ্ছে এক কোটি টনের অধিক। ফলে কৃষিপণ্যের মূল্য বেশি। ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এই অবস্থায় দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে শতভাগ আধুনিক তথা যান্ত্রিকরণ ও প্রযুক্তিকরণ করতে হবে যথাশিগগির। উপরন্তু এসব দেশে তৈরি ও তা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। তাহলে কৃষি যন্ত্র-প্রযুক্তি আমদানির বিপুল ব্যয় সাশ্রয় হবে। দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা এবং সব ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। বর্ণিত এ বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হলে দেশে কৃষিবিপ্লব হবে। তাতে খাদ্য উৎপাদনে দেশ সত্যিকারভাবে স্বয়ংভর হবে। বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। অনেক খাদ্যপণ্য রফতানিও হবে। দেশের আমদানি পণ্যের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ সর্বাধিক। অথচ দেশে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপরন্তু বিপুল পরিমাণে আবিষ্কৃত কয়লার মজুদ রয়েছে। সর্বোপরি বিপুল পরিমাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ পূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারলে জ্বালানি উৎপাদনে দেশ স্বয়ংভর হবে অচিরেই। তখন আমদানি করতে হবে না। দেশের বিশাল সমুদ্র এলাকায় অফুরন্ত সম্পদ রয়েছে, যা আহরণ করতে পারলে দেশের ব্যাপক কল্যাণ হবে।

দেশের রফতানির ৮৪ শতাংশ গার্মেন্ট। তাতে সম্প্রতি ভাটা পড়েছে বৈশ্বিক মহামন্দা, অধিক মূল্যস্ফীতি ও যুদ্ধের কারণে। উপরন্তু এ খাতে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে সম্প্রতি। যেমন: জ্বালানি সংকটের কারণে শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত এবং ঘনঘন মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, আইএমএফের চাপে রফতানি খাতে সরকারি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হ্রাস ইত্যাদি। এছাড়া, এলডিসি উত্তরণের পর জিএসপি সুবিধা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গার্মেন্টের মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য, গার্মেন্ট রফতানির ক্ষেত্রে কোন দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, গার্মেন্টের প্রধান মার্কেট ইউরোপ ও আমেরিকা বলেছে, বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিকের জীবনমানের উন্নতি করা হলে জিএসপি সুবিধা বহাল থাকবে। দ্বিতীয়ত: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা গত ২৩ অক্টোবর, ২৩ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এলডিসি উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশের শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। তৃতীয়ত: গার্মেন্ট রফতানির নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে রপ্তানি বেড়েছে অনেক। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। চতুর্থত: শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিদেশি ক্রেতারা পোশাকের মূল্য বাড়াতে রাজি হয়েছে। তাই দেশের গার্মেন্ট খাত নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই। তাই উৎপাদন বাড়ানোর দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া, আমরা যে গার্মেন্ট রফতানি করি, তার বেশিরভাগ স্বল্প মূল্যের। উচ্চ মূল্যের ডেনিম রফতানির হার খুব কম। অথচ বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা বেশি। তাই আমাদের ডেনিম রফতানি বাড়াতে হবে। উপরন্তু গার্মেন্ট তৈরির উপকরণ তথা কাপড়, সুচ, সুতা, মেশিন ইত্যাদির প্রায় সবই আমদানি করতে হয়। তাতে রফতানির প্রায় ৬০% চলে যায়। তাই থাকে শুধু তৈরি করার মজুরি। সর্বোপরি গার্মেন্টের ডিজাইন, কাটিং, বায়ারের সাথে আলোচনা ইত্যাদিতে দেশে দক্ষ লোকের ঘাটতি রয়েছে। তাই বিদেশি দক্ষ লোক এনে কাজ করতে হয়। এসব ঘাটতি পূরণ করতে হবে। তাহলে গার্মেন্টের আয় অনেক বাড়বে।

দেশে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওষুধ তৈরি হয়। প্যাটেন্ট সুবিধার কারণে মূল্যও কম বৈশ্বিকভাবে। তাই দেশের চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হয়। উপরন্তু বিপুল ওষুধ রফতানি হয় বহু দেশে। এলডিসি উত্তরণের পরও ওষুধের প্যাটেন্ট সুবিধা বহাল থাকবে। তাই ওষুধের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল দেশে উৎপাদন করতে পারলে মূল্য অনেক কমবে, রফতানিও বাড়বে। বিশ্বে আইটি পণ্যেরও চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর সদ্ব্যবহার করতে পারলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে অনেক রফতানি করা যাবে। অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে। তাতেও রফতানি বাড়বে। ইদানিং হালাল পণ্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে সারা বিশ্বেই। ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন ও ডিসকোভার ইভেন্টসের প্রধান ইউনুস সম্প্রতি বলেছেন, ‘হালাল মার্কেট দ্রুতগতিতে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের দিকে ছুটছে’। এই বিশাল বাজারের কিয়দংশ ধরতে পারলে দেশের রফতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

দেশে আমদানি কমানো ও বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। তাহলে নিজস্ব সম্পদ দিয়েই দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত ও টেকসই হবে স্বল্পদিনেই। বিজিএমইএ’র সভাপতি মান্নান কচি গত ৪ মে বলেছেন, ‘আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করতে পারব বলে আশা করছি’। হ্যাঁ, এটা কল্পনা নয়, বাস্তব। তবে এর জন্য ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানব সম্পদের উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা