ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বাবরের কাঠগড়ায় বোলিং-ফিল্ডিং

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক :

২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের আড়াল করে রাখার কথা। সেখানে আরও সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছেন সতীর্থদের। নির্দিষ্ট করে বোলার আর ফিল্ডারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তার মতে, বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিতে পারছে না। মনোযোগ আর তৎপরতার অভাব ফিল্ডারদের মাঝেও!

শুরুতে টস জিতে পাকিস্তান ৭ উইকেটে পায় ২৮২ রানের সংগ্রহ। এত বড় সংগ্রহ বেশ অনায়াসেই পার করেছে আফগান ব্যাটাররা। উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের জুটিতে ১৩০ রান যোগ হয়েছে। তার পর রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদী ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছেন। বিশ্বকাপে এমনটা পাকিস্তানের প্রথম হলো যেখানে তারা ২৭৫ প্লাস রান করেও সেটা ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরাজয় স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট দিচ্ছে বাবরকে, ‘হ্যাঁ, এই পরাজয় আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমরা ২৮০-৯০ স্কোর পেতে চেয়েছিলাম। সেটা করার পর বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে আমরা আপ টু দ্য মার্ক ছিলাম না। যেভাবে চেয়েছি স্পিনাররা সেভাবে বল করতে পারেনি।’

বাবরের মতে পিচে স্পিনারদের সহায়তা থাকার পরেও প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর কোনও চাপ তৈরি করতে পারেনি তারা, ‘আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করছিলাম। কিন্তু উইকেট প্রয়োজন ছিল। পিচ স্পিনারদের যথেষ্ট সহায়তা করছিল। এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসেও। কিন্তু আমাদের স্পিনাররা যে লেংথ দরকার সেখানে বল করতে পারেনি। প্রতি ওভারে আমরা বাউন্ডারি হজম করেছি। ফলে ব্যাটারদের ওপর কোনও চাপ ছিল না।’ হারের কারণ কোনও বিভাগেই ঠিকমতো কিছু না হওয়া, ‘সব বিভাগে একই সময়ে আমরা ক্লিক করতে পারিনি। দেখা গেছে বল ভালো করলে ব্যাটিং ভালো হয় না। আমার যখন ব্যাটিং ভালো করছি তখন ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না।’ ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও দলের চেষ্টাকে দুর্বল মনে করেন তিনি, ‘ফিল্ডিং মানেই হচ্ছে শরীরী মনোভাব। কিন্তু দলের মাঝে সেসবের ছাপ দেখতে পাইনি। এসবক্ষেত্রে বাড়তি চেষ্টা থাকা লাগে, ফিট থাকা লাগে।’


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো