এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান। আরও একবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাবর আজম। অধিনায়কের দেড়শ আর ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে নেপালকে কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান করে পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক ও দ্বিতীয় দেড়শ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পূর্ণ করে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ।

পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েন ১৩১ বলে ২১৪ রানের জুটি। ৬৬ বলে শতক স্পর্শ করেন ইফতিখার। এশিয়া কাপে এটি চতুর্থ দ্রুততম শতক। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আরেক পাকিস্তানি শহিদ আফ্রিদি। ইফতিখারের ৭১ বলে ১০৯ রানের ইনিংসে চার ১১টি, চারটি ছয়।

৭২ বলে ফিফটি করা বাবর ১০৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। ১২৯ বলে করেন দেড়শ। ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইসিংসটি তিনি সাজান ১৪টি চার ও চারটি ছক্কায়। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে তার জোরালো শট ঠিকমত তালুবন্দি করতে পারেননি পেস বোলার করন কেসি।

নেপালের হয়ে সোম্পাল কামি নেন ২ উইকেট, তবে রান গুনতে হয় ৮৫। সোম্পালের বলেই শেষ ওভারে লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাবর।  

উইকেট কিছুটা শুষ্ক ও চকচকে হওয়ায় টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া পাকিস্তান ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায়। এরপর প্রথমে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মাদ রিজওয়ানকে নিয়ে ১০৬ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন বাবর।

দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলা জুটি বিচ্ছিন্ন হয় রিজওয়ানের ভুলে। দ্রুত রান নিতে গিয়ে ব্যাট না চালিয়ে লাফ দেন এই কিপার-ব্যাটার। তার আউটের ধরণ দেখে রেগে নিজের ক্যাপ খুলে মাটিতে ফেলে দেন বাবর। তার দিকে বল ছুঁটে আসছে দেখে আঘাত এড়াতে লাফ দিয়েছিলেন রিজওয়ান। ৪৯ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।

রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত ফেরেন আগা সালমানও (১৪ বলে ৫)। এরপর ইফতিখারকে নিয়ে জুটি গড়েন বাবর। শেষ ১০ ওভারে তারা তোলেন ১২৯ রান।

এই ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে এশিয়া কাপের ১৬ত আসরের। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে নেপালের এটি চতুর্থ ম্যাচ, আর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম।

এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম অংশগ্রহণ দারুণভাবে উদযাপন করছে নেপাল। এ উপলক্ষ্যে অনেক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে দিনটি জয় দিয়ে রাঙাতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে দলটিকে।