নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের পাঁচে পাঁচ
২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
তার ব্যাটেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় একই চিত্রনাট্য। ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারণ হয়ে যাওয়ায় শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ালো বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি পান কিনা এ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কোহলি সেঞ্চুরি না পেলেও বিশ্বকাপে জয়ের ধারা ধরে রেখে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ উপহার দিয়েছে ভারত।
আসরের ২১তম ম্যাচে রোববার ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারায় রোহিত শর্মার দল। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ১২ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় দলটি। ২০০৩ সালের পর আইসিসির কোনো ইভেন্টে এই প্রথম কিউইদের হারাল ভারত।
এ নিয়ে আসরে ৫ ম্যাচের সবকটিতেই জিতল বিশ্বকাপ স্বাগতিকরা। বিপরীতে প্রথম চার ম্যাচেই জয়ের পর পরাজয়ের স্বাদ পেল নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট তালিকাতেও তাদের অবস্থান পাশাপাশি। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত, সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিউজিল্যান্ড।
জয়ের জন্য যখন ৫ রান দরকার, কোহলির সেঞ্চুরির জন্যও তখন লাগে ৫ রান। এসময় সুযোগ থাকলেও সিঙ্গেল নেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাট হেনরির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হয়ে যান কোহলি।
কোহলির ব্যাটে দল জিতলেও ভারতের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ শামি। বিশ্বকাপের একাদশে ফিরেই সেরা বোলিং উপহার দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। নিয়েছেন ৫৪ রানে ৫ উইকেট। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুবার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও গড়েন তিনি। তার বোলিংয়ের কারণেই শেষ দিকে বেশিদূর যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
ব্যাট হাতেও ভারতের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে ৬৭ বলে ৭১ রানের জুটির পর ৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন দুই ওপেনার। বোলিংয়ে এসেই রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে দেন লকি ফার্গুসন। চারটি করে ছক্কা চারে ৪০ বলে ৪৬ রান করেন অধিনায়ক। শুবমান গিলকে পয়েন্ট ক্যাচ বানান একই বোলার।
২৬ রানের ইনিংস দিয়েই এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ২ হাজার রান পূর্ণ করলেন গিল। এজন্য তার লেগেছে ৩৮ ইনিংস। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন হাশিম আমলাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা এই ব্যাটারের লেগেছিল ৪০ ইনিংস।
এরপর দুটি ফিফটি জুটিতে নেতৃত্ব দেন কোহলি। এসময় তাকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আয়র (২৯ বলে ৩৩) ও লোকেশ রাহুল (৩৫ বলে ২৭)। রাহুল আউট হওয়ার পরের ওভারে রানআউট হয়ে যান সুর্যকুমার যাদব।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন কোহলি। গড়েন ৮৩ বলে ৭৮ রানের জুটি। ১০৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজান এই তারকা ব্যাটার। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৩৯ রানে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
অথচ দিনটা হতে পারত ড্যারেল মিচেলের। তার দুর্দান্ত শতকে একটা সময় তিনশোর্ধো সংগ্রহের পথে ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটাররা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল একটা পর্যায়ে ৩৭তম ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাড়ায় স্বাগতিক বোলাররা। শামির ৫ উইকেটের পাশাপাশি দুটি নেন কুলদিপ যাদব। তবে ১০ ওভারে এই লেগ স্পিনার দেন ৭৩ রান। মিতব্যয়ি চিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
নিউজিল্যান্ডকে বলতে গেলে একাই টানেন মিচেল। নবম ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নেন তিনি। রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৫২ বলে ১৫৯ রানের জুটি। ডানহাতি এই ব্যাটার মাঠ ছাড়েন শেষ ওভারে। এর আগে খেলেন ১২৭ বলে ১৩০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায়।
৩৪তম ওভারে তাদের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন শামি। হাঁকাতে গিয়ে স্লোয়ারের ফাঁদে পড়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হয়ে যান বরীন্দ্র। তিনি খেলেন ৮৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস।
রবীন্দ্র অবশ্য ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ১২ আর দলীয় ৪০ রানেই। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন আরেক ‘রবীন্দ্র’, জাদেজা।
মিচেলকেও শিকারে পরিণত করেন শামি। তিনিও বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন। এই দুইজনের পর নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গ্লেন ফিলিপসের, ২৩। শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েও শামির কারণেই ঝড় তুলতে পারেননি লকি ফার্গুসন-মিচেল স্যান্টনাররা।
ভারতের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, আগামী ২৯ অক্টোবর। এর আগের দিন এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমখি হবে নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৭৩ (কনওয়ে ০, ইয়াং ১৭, রবীন্দ্র ৭৫, মিচেল ১৩০, ল্যাথাম ৫, ফিলিপস ২৩, চাপম্যান ৬, স্যান্টনার ১, হেনরি ০, ফার্গুসন ১, বোল্ট ০*; অতিরিক্ত ১৫; বুমরাহ ১০-১-৪৫-১, সিরাজ ১০-১-৪৫-১, শামি ১০-০-৫৪-৫, জাদেজা ১০-০-৪৮-০, কুলদিপ ১০-০-৭৩-২)।
ভারত: ৪৮ ওভারে ২৭৪/৬ (রোহিত ৪৬, গিল ২৬, কোহলি ৯৫, শ্রেয়াস ৩৩, রাহুল ২৭, সূর্যকুমার ২, জাদেজা ৩৯*, শামি ১*; অতিরিক্ত ৫; বোল্ট ১০-০-৬০-১, হেনরি ৯-০-৫৫-১, স্যান্টনার ১০-০-৩৭-১, ফার্গুসন ৮-০-৬৩-২, বরীন্দ্র ৯-০-৪৬-০, ফিলিপস ২-০-১২-০)।
ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ শামি।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে বৈষম্য কতটা প্রকট: সাধারণের অবস্থান কোথায়
কোরআন তেলাওয়াত আমাদের হৃদয়ে প্রশান্তি দান করে: কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
ড. ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলের রায়ে আইনি দুর্বলতা পাননি আপিল বিভাগ
শেরপুরে জামায়াতের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত
চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান থেকে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় এক অচেতন সেনা সদস্য উদ্ধার
আফগানিস্তানে এবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের
মাওলানা মামুনুল হক আমির জালালুদ্দীন মহাসচিব নির্বাচিত
বসুন্ধরায় ফ্যাশন ব্রান্ড ‘হিজাবিয়ানা’র আউটলেট উদ্বোধন
‘সরকার এতই যোগ্য যে, থানা থেকে ওসি পালিয়ে যায় কিন্তু টেরই পায় না’: মাহমুদুর রহমান মান্না
সাংবাদিকতা হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়া পরিবারের জন্য বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকে আছে - যুবদল নেতা রেজাউল কবীর পল
বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট
কুষ্টিয়ায় ৮ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত, আহত-৩
তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি, দায় নিলেন সড়ক উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
মাদারীপুরের কালকিনিতে মটরসাইকেলের ধাক্কায় কিশোর নিহত
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন ড. ইউনুস
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার কমিটি গঠন
জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে : ড. বিধান রঞ্জন