‘বাজে আম্পায়ারিং আর আইসিসির জঘন্য নিয়মে হেরেছে পাকিস্তান'

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪৫ পিএম

ছবি: টুইটার

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারা পাকিস্তান পাশে পেল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত দলের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংকে। পাক দলনায়ক বাবর আজম যে বিষয়টিকে ম্যাচের অংশ বলে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, ভাজ্জি সেই বিষয়টিকেই বিতর্কে রূপ দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাকিস্তানের হারের জন্য ‘খারাপ আম্পায়ারিং ও ডিআরএসে আম্পায়ার্স কলের জঘন্য’ নিয়মকে দায়ি করেছেন। যদিও ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর স্পষ্ট জানান, আম্পায়ার্স কল হল খেলার অংশ। কখনও সেটি প্রতিপক্ষের অনুকূলে যায়, আবার কখনও নিজেদের অনুকূলে। তাই সেটিকে মেনে নিতেই হবে।

যা ঘটেছিল:

জয়ের জন্য ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় ২৬০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষ উইকেটে জয়ের জন্য আরও ১১ রান দরকার ছিল তাদের। এই অবস্থায় ৪৬তম ওভারের একটি বল আম্পায়ার ওয়াইড দেন। যদিও যেটি ব্যাটসম্যানের প্যাডে লেগেছিল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অতিরিক্ত হিসেবে ১ রান পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

হারিস রউফের করা ঠিক তার পরের বলেই ১১ নম্বর ব্যাটার তাবরেজ শামসির বিপক্ষে এলবিডব্লিউ-র জোরালো আবেদান জানায় পাকিস্তান। আম্পায়ার আউট দেননি। পাকিস্তান রিভিউ নিলে বল ট্র্য়াকিংয়ে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে আঘাত করছিল। তবে আম্পায়ার এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে নট-আউট ঘোষণা করায় আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি।

আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলে আবার রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারতেন না তাবরেজ, আম্পায়ার্স কল হওয়ায়। তারবেজ সেই সময় আউট হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩ রানে অল-আউট হয়ে যেত। শেষমেশ ৯ উইকেটে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

হরভজনের দাবি:

এক্ষেত্রে হরভজন সিং দাবি করেন, আম্পায়ারিং ভালো হলে এবং আইসিসির নিয়ম যদি যথাযথ হতো, তাহলে পাকিস্তানই ম্যাচ জিতত এদিন। টুইটারে ভাজ্জি লেখেন, ‘এই ম্যাচে পাকিস্তানকে খারাপ আম্পায়ারিং ও জঘন্য নিয়মের মাশুল দিতে হলো। আইসিসির এই নিয়মটা বদলানো দরকার। যদি বল স্টাম্পে লাগে, তাহলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, (ডিআরএসে তৃতীয় আম্পায়ারের) আউট দেওয়া উচিত। তা না হলে প্রযুক্তি ব্যবহারের যৌক্তিকতা কোথায়?’


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস