রেফারিকে গালি দিলেন ক্ষুব্ধ হল্যান্ড, পেতে পারেন শাস্তি
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
প্রিমিয়ার লিগে রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৩-৩ গোলের নাটকীয় ড্র ম্যাচ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। সেটা নতুন মাত্রা পেয়েছে ম্যাচের পর রেফারি সাইমন হুপারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্লিং হালান্ডের পোস্টের পর। এতে করে হালান্ড সম্ভাব্য শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। তবে পরিস্থিতি তখন ওরকমই ছিল বলে মত সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে হুপারের কিছু সিদ্ধান্ত সিটির বিরুদ্ধে গেছে, আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সিটি স্ট্রাইকার হালান্ড।ঘটনা গত রাতের সিটি–টটেনহাম ম্যাচের ৯৪তম মিনিটের। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ তখন ৩–৩ গোলে সমতায়। এসময় হালান্ডকে ফাউল করা হলেও দ্রুত তিনি উঠে জ্যাক গ্রিলিশের দিকে বল বাড়িয়ে দেন। তখন ফাউল ধরেননি রেফারি। বল নিয়ে গ্রিলিশ যখন টটেনহ্যামের রক্ষণ দেওয়াল ভেঙে কেবল গোলকিপারের সামনে পৌঁছে যান ঠিক সেই সময় ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি হুপার। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে হালান্ডের সাথে তার সতীর্থরাও বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সবার প্রতিবাদ- ফাউল ধরলে সঙ্গে সঙ্গেই কেন নয়, কেন বল নিয়ে গোলের কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর বাঁশি বাজল—এ নিয়ে রেফারি সাইমন হুপারকে ঘিরে ধরেন হলান্ডসহ অন্যরা। যদিও এতে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো চেঁচামেচি করায় হলুদ কার্ড দেখেন হলান্ড।
ম্যাচের শেষেও হালান্ড তার প্রতিবাদ চালিয়ে গেছেন। এ সময় তিনি টুইটারে হুপার সম্পর্কে খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন। ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও রিটুইট করেছেন হলান্ড। সঙ্গে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার হয়, এমন একটি শব্দ।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সিটি বস পেপ গুয়ার্দিওলা হালান্ডের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট সম্পর্কে কিছু জানতেন না। কিন্তু মাঠে হালান্ডের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি স্বীকার করে গার্দিওলা বলেন, ‘ঐ মুহূর্তে এটাই স্বাবাভিক ছিল। অন্য ১০জন খেলোয়াড়ও একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আইনে আছে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে রেফারি কিংবা চতুর্থ অফিসিয়ালের সাথে কোন ধরনের কথা বলা যাবে না। আজ আমাদের ১০ জন খেলোয়াড়ই লাল কার্ড পেতে পারতো। আমরা সবাই হতাশ। এমনকি রেফারি নিজে যদি আজ ম্যান সিটির পক্ষে খেলতেন তবে এই ধরনের সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবে তিনিও হতাশ হতেন।’
কাতালোনিয়ান এই কোচ আরও বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমাকে বিস্মিত করেছে। ঐ মুহূর্তে আর্লিং যখন পড়ে গিয়েছিল তখন বাঁশি বাজালে কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু হালান্ড উঠে দাঁড়িয়ে পাস দেবার পর রেফারি খেলা চালিয়ে যাবার ভঙ্গি করেন। হঠাৎ করেই তিনি খেলা বন্ধ করে ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন। আমি তার কোন সমালোচনা করতে চাইনি। টাচলাইনে আমিও অনেক সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলি। আমার ব্যবহারও অনেক সময় ঠিক থাকে না। কোচিং জীবনে দীর্ঘ সময়ে আমি রেফারিং সম্পর্কে মন্তব্য করতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে পিক-আপ গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর
মাল্টিডিসিপ্লিনারি ও ইমপ্যাক্টফুল গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে : উপাচার্য
দ্বিতীয় বিয়ে করতে না পেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা ঘাতক স্বামীর থানায় আত্ম সমর্পণ
পবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন
শীতে কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষ, দুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীর সদরে পুকুরে ভাসছিল অর্ধগলিত যুবকের মরদেহ
মানিকগঞ্জে সদরে গরুসহ দুই চোর আটক
বাকৃবি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিএনপির ৩১ দফা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ফয়সল চৌধুরী
রাজবাড়ীতে সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন অনুষ্ঠিত
লন্ডনে টিউলিপের আরও এক উপহারের ফ্ল্যাটের সন্ধান
হাড়ভাঙা খাটুনি 'ক্লান্ত' শুক্লার আত্মহত্যা
৬ ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে: প্রেস সচিব
নদী দূষণ রোধ-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মানুষ-হাতিসেংঘাত মোকাবেলায় এডিবির সহযোগিতা চাইলেন উপদেষ্টা
পিএসসি প্রশ্নফাঁস: আবেদের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকার লেনদেন
কুমিল্লায় জমে ওঠেছে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা দেশি পন্যের ব্যাপক সমাহার
বিএনপি নেতা মান্নানের বিরুদ্ধে বসত বাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
খুলনায় বাড়ছে গোলাগুলি, খুন পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি পুলিশ
নিপুণ হাতে সুই সুতোয় কাজ করছে আটঘরিয়া লেপ-তোষকের কারিগররা