প্লে-অফের লড়াইয়ে জয়ে ফেরা খুলনা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রতিপক্ষ তলানীর দল দুর্দান্ত ঢাকা। মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য। ম্যাচটি জিতলে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকার আশাও বেঁচে থাকবে খুলনা টাইগার্সের। তাতে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার শরীফুল ইসলামের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। যে হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন, ম্যাচ শেষ হতেই খুলনা অধিনায়কের মুখে ফুটে উঠল চওড়া হাসি। ডাগআউটে সবাইকে আলিঙ্গনে জড়ালেন তিনি, ‘হাই ফাইভ’ করলেন কয়েকজনের সঙ্গে।
কোচিং স্টাফের সবার মুখেও ফিরেছে হাসি। অবশেষে যে জিতেছে দল, ফিরেছে প্লে-অফের লড়াইয়ে! ঢাকার ডাগআউট তখন সেই চেনা চেহারাতেই। সেখানে সবার মুখই শুকনো, নিস্তরঙ্গ। পরাজয়ের ধারায় ছিল দুই দলই। সেই হতাশার ¯্রােতে বাঁধ দিতে পারল খুলনা। ৫ উইকেটের জয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে নিজেদের অস্তিত্ব আবার জানান দিল টাইগার্স।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ইনিংস থমকে যায় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৮ রানে। খুলনা জিতে যায় ৫ উইকেট আর ২৮ বল হাতে থাকতেই। নতুন বলে সুইং বোলিংয়ে ভিত গড়ে দিলেন ওয়েইন পারনেল। পরে দুর্দান্ত বোলিং করলেন মুকিদুল ইসলাম। পারনেল শিকার করেন ১৯ রানে ৩ উইকেট, মুকিদুল ১৮ রানে ৩টি। রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে এলো ঝড়ো দুটি ইনিংস। টানা চার জয়ে আসর শুরু করা খুলনা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল টানা পাঁচ ম্যাচ হারার পর। ১০ ম্যাচে পাঁচটি জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো খুলনা। এক ম্যাচ কম খেলা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্টও ১০ (গতরাতের ম্যাচ বাদে)। রানরেটে পিছিয়ে আছে তারা। সমান নয়টি করে ম্যাচ ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স (গতরাতের ম্যাচ বাদে) ও কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট করে। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ঢাকার রেকর্ড পরাজয় যাত্রা পৌঁছে গেল দুই অঙ্কে। টানা ১০ ম্যাচে হারে তলানিতে থাকা ঢাকার পয়েন্ট ১১ ম্যাচ ২!
টানা চারটি ম্যাচ জিতে এবার উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল খুলনা টাইগার্স। কিন্তু এরপর কী যেন হয়ে যায় দলটির। উল্টো টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। তবে বোলারদের সৌজন্যে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। টানা হারের রেকর্ড গড়া দুর্দান্ত ঢাকাকে আরও একটি হার উপহার দিয়েছে খুলনা। অথচ এদিন সাদামাটা পুঁজি নিয়ে ঢাকাকে দারুণ সূচনাই এনে দিয়েছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৭ রানেই খুলনার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে প্রথম বলে বোল্ড করে দেওয়ার পর এভিন লুইসকে করেন আলাউদ্দিনের তালুবন্দি। এরপর শেই হোপকে নিয়ে দলের হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৪৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।
ইমনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তবে পাঁচ নম্বরে নামা আফিফ হোসেন উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ শেষ করে ফেরা শেই হোপ কার্যকর ব্যাটিংয়ে গড়ে তোলেন জুটি। ইনিংস অবশ্য বড় করতে পারেননি কেউই। চাতুরাঙ্গাকে টানা দুটি ছক্কার পর আরেকটির চেষ্টায় আউট হয়ে যান পারভেজ। ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৪০ রান। তাসকিনকে ছক্কায় ওড়ানোর পর সেøায়ার বলে ক্যাচ হয়ে যান হোপ (২৮ বলে ৩২)। তবে আফিফ ছিলেন বলেই চাপে পড়তে হয়নি খুলনা। আলাউদ্দিন বাবুর এক ওভারে দুই ছক্কার পর তিনি মোসাদ্দেকের এক ওভারে মারেন দুটি চার দুটি ছক্কা। দলকে জিতিয়ে ২১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত রয়ে যান তিনি। এবারের আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ করেছিলেন তিনি। দশম ম্যাচে এসে ছাড়িয়ে যেতে পারলেন সেই স্কোরকে। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচের সেরা অবশ্য পারনেল।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। শুরুতেই পারনেলের তোপে পড়ে দলটি। দলীয় ১৮ রানে জোড়া উইকেট হারায় দলটি। মোহাম্মদ নাঈম এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। সফল রিভিউতে তাকে ফেরান পারনেল। পরের বলে সাইফ হাসানকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন এই পেসার। তবে ফুলার লেংথে রাখার পরের ডেলিভারিটি ভালোভাবেই সামাল দেন আলেক্স রস। তবে পরের ওভারে ফিরে আরেক ওপেনার অ্যাডাম রসিংটনকে ফেরান পারনেল। ফলে দলীয় ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঢাকা। এরপর ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রস। ৩৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শুক্কুরকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। ২৫ রান করেন শুক্কুর। পরের বলে শন উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে তিনিও হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। যদিও পারেননি তিনিও।
৬২ রানে ৫ উইকেট হারানোর দলটির হাল রসকে নিয়ে ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তবে পারভেজ হোসেন ইমনের সরাসরি থ্রোতে ব্যক্তিগত ২৫ রানে রস রানআউট হলে ফের চাপে পরে দলটি। এরপর চতুরঙ্গ ডি সিলভার সঙ্গে ৩০ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মোসাদ্দেক। ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খুলনার পক্ষে চার ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম। চার ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার পারনেলেরও।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ