শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ।পাথুম নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কার অনবদ্য ১৮৫ রানের জুটিতে একপেশে জয়ের দিকে এগোতে থাকা শ্রীলংকা।তবে দুইজনকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট ফিরিয়ে স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছিল টাইগার্সরা।তবে শেষদিকে ওয়িন্দু হাসারাঙ্গার দৃঢ়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লংকানরা। 

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে বাংলাদেশ।পাথুম নিশাঙ্কা ১১৪ ও আসালাঙ্কার ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে  তিন ওভার আর তিন উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় লংকানরা। 

অতিথিদের এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল।

২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে ব্যাট করতে নামা লংকানদের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি।ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আবিস্কা ফের্নান্দোকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে নিসাঙ্কা ও কুসাল মেন্ডিস শুরুর চাপ সামলে নিয়ে রান তুলতে থাকেন দ্রুত।বাউন্ডারির ফুলঝরি ছুটিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করে ফেলেন ২৯ বলে ৪১ রান।মেন্ডিসকে(১৩ বলে ১৬রান) ফিরিয়ে বিপদজনক হয়ে ওঠে দুটি ভাঙ্গেন তাসকিন আহমেদ। শরিফুল এরপর সাদিরা সামারাউইক্রামাকে ফেরান ১ রানে।

৪৩ সনের তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লংকানদের ইনিংসের হাল ধরেন নিসাঙ্কা ও আসালাঙ্কা।চাপ সামলে তারা ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নেন।এরপর ধীরে ধীরে পাল্টা আক্রমণে দুইজনের জুটি চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের বিশাল জুটি করার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার নিশাঙ্কা।তাকে ফিরিয়ে বড় এই জুটি ভাঙেন মিরাজ।একটু পর আসালাঙ্কাকে শতরানের আগে থামান তাসকিন।

তবে শ্রীলঙ্কাকে বিপাকে পড়তে দেননি দুনিথ ওয়েলালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২ ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রান করে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আউট হন হাসারাঙ্গা। ওয়েলালাগে ফেরেন দলকে জিতিয়ে।

এর আগে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পেছনে বড় অবদান তাওহীদ হৃদয়ের।যদিও অল্পের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। ১০২ বলে ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন হৃদয়।

প্রথম ওভারেই লিটন দাস বিদায় নেওয়ার পর দলকে এগিয়ে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। সম্ভাবনা জাগিয়েও এদিন পঞ্চাশ করতে পারেননি শান্ত। ৪০ রানে থামেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেন সৌম্য। খেলেন ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। পরে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজরা হতাশ করলে আড়াইশ করা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয়। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে প্রত্যাশিত স্কোর পেল বাংলাদেশ।

সোমবার একই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।