দুই বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতীয় কিপার-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক।

শনিবার সন্ধ্যায় নিজের জন্মদিনে এক এক্স বার্তায় এই ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক। একই সাথে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজের কথাও বলেন তিনি।

'অনেকে ভেবেচিন্তে এখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আর নেই। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার অবসর ঘোষণা করছি, আমার খেলোয়াড়ি জীবন পেছনে পড়ে রইল। আগামীতে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজ করব।'

'আমি আমার সব কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, সতীর্থ ও সব সাপোর্ট স্টাফকে ধন্যবাদ দেই। আমার এই লম্বা যাত্রা আনন্দময় ছিলো।'

অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। এরপর আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার আশায় আইপিএল ও অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে নিয়েছেন তিনি।

সবশেষ আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচ ২০০২-০৩ মৌসুমে শুরু হওয়া কার্তিকের পেশাদার ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ। সেদিন ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। তবে আসর জুড়ে কার্তিকের ব্যাট কথা বলেছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫ ম্যাচে ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩২৬ রান। আইপিএলে শেষ ম্যাচের দিনই বিদায়ের আভাস দেন। এবার জানালেন আর কোন ধরণের স্বীকৃত ক্রিকেটে দেখা যাবে না তাকে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৭ আসরের সবগুলো খেলা ৭ ক্রিকেটারের একজন তিনি। অন্য ছয়জন মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ভিরাট কোহলি, রোহিত শার্মা, শিখার ধাওয়ান, ঋদ্ধিমান সাহা ও মানিশ পান্ডে।

আইপিএলে ৬টি ভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন ২৫৭ ম্যাচ। ২২টি ফিফটিতে করেছেন ৪ হাজার ৮৪২ রান। এর সঙ্গে ১৭৪ ডিসমিসাল নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন কার্তিক। তার সামনে কেবল ধোনি (১৯০)।

ভারতের জার্সিতে ২৬ টেস্ট, ৯৪ ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১ সেঞ্চুরি ও ১৭ ফিফটিতে সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি রান রয়েছে তার।

অবসর ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন কার্তিক। এবারের বিশ্বকাপেও রয়েছেন ধারাভাষ্য প্যানেলে। এই বিষয়ে কিছু না জানালেও, এটিকেই হয়তো ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তিনি।