নিউইয়র্কের পিচ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়ে যায়।সেটি মাথায় রেখেই কিনা কুইন্টন ডি কক পাওয়ারপ্লের পূর্ণ সুবিধা নিতে শুরু করলেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে। তানজিম সাকিবের করা প্রথম ওভারের প্রথম বল ডট দেওয়ার পর পরের দুই বলে ছয় ও চারে নিলেন দশ রান। 

তবে চাপ সামলে সেই ওভারেই ঘুরে দাঁড়ালেন তানজিম।ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে ফেরালেন রেজা হেন্ড্রিকসকে। তাসকিনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফের ছয় মারলেন ডি-কক।তবে সে ওভারে বাকি  পাচ বলে কেবল এক রানই দিয়েছেন এই পেসার।

দারুণ ছন্দে খুঁজে পাওয়া তানজিম পরের ওভারে ফের পেলেন সাফল্য।বিপদজনক হয়ে ডি-কক কে করলেন বোল্ড।আউট হওয়ার আগে দুই ছয় ও এক চারে ১১ বলে ১৮ করেন এই প্রোটিয়া ওপেনার।তিন ওভারেও দুই ওপেনারকে হারানো আফ্রিকা আরও  চাপে পড়ে তাসকিনের করা পরের ওভারে মার্করাম বোল্ড হলে।

তবে ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ে ইনিংসের টানা চতুর্থ ওভারে উইকেটের দেখা পেলে। দুর্দান্ত এক স্পেলের মধ্যে থাকা তানজিম সাকিব লাফিয়ে উঠা এক বলে মিড অফে ট্রিস্টান সাবসকে সাকিবের হাতে ক্যাচ বানান।৫ বল খেললেও তিনিও খুলতে পারেননি রানের খাতা। প্রথম তিন বলে ১০ রান  দেওয়ার পর তানজিম দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩ ওভারে ১৩ রান নিয়েছেন তিন উইকেট।

পাওয়ারপ্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা।৬ ওভার শেষে  ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ কেবল ২৫ রান। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে মুস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন কেবল ১ রান।প্রোটিয়াদের হয়ে ক্রিজে আছেন নেদারল্যান্ডসে বিপক্ষে জয়ের নায়ক ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন।

তবে পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হওয়ায় ১২০-৩০  দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হয়ে যেতে পারে উইনিং স্কোর।তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য  থাকবে যতটা কমে প্রোটিয়াদের আটকে দেওয়া যায়।