ফুটবল ক্যারিয়ারের এক নাটকীয় মুহূর্তে এসে উপনীত হয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। নিজ ক্লাব পিএসজির সঙ্গে তার সম্পর্কটা গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। অবস্থা এতটাই খারাপ যে আগামী মৌসুম ফুটবল মাঠে তাকে দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়েও জেগেছে সন্দেহ।

চুক্তি নবায়নে অনিচ্ছুক এমবাপেকে আর দলে রাখতে চাইনা পিএসজি কর্তৃপক্ষ।নতুন মৌসুমে ক্লাবের অনুশীলন পর্ব শুরু হওয়ার সময়ই এমবাপের কাছে স্পষ্টতা চেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া দেননি এই ফরাসি। বার্তাটা স্পষ্ট চলতি মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে আগামী মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হয়ে চলে যেতে চাইছেন তিনি। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা তারকাকে মুফতে ছাড়তে রাজী নয় ক্লাবটি। তাই এমবাপেকে বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্লাবটি।

ইংলিশ ক্লাব চেলসি,আর্সেনাল থেকে শুরু করে এমবাপের প্রতি আগ্রহ দেখায় বেশ কিছু ক্লাবই। সবচেয়ে বড় প্রস্তাবটা আসে আল-হিলালের কাছ থেকে। তার জন্য এক বিলিয়ন ইউরো খরচ করতে রাজী তারা। ট্রান্সফার ফি বাবদ ৩০০ মিলিয়ন ইউরো। আর ৭০০ মিলিয়ন ইউরো এমবাপের জন্য। এমন লোভনীয় প্রস্তাব সঙ্গেসঙ্গেই মেনে নেয় পিএসজি। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতে নারাজ এই তরুণ।

এদিকে ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকমের সংবাদ অনুযায়ী, চুক্তিটা এক বছরের জন্য হলেও সউদী প্রো লিগে খেলতে চাইছেন না এমবাপে। আরও এক মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে এ নিয়ে মৌখিক একটি চুক্তিও হয়েছে তার।

তবে শেষ পর্যন্ত যদি চুক্তি নবায়ন না করে ক্লাবও না ছাড়তে চান তাহলে পুরো মৌসুম এমবাপেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার হুমকি দিয়েছে পিএসজি। অবশ্য সেই হুমকিতে টলে যাওয়ার পাত্র নন এমবাপে। বঞ্চে বসে থেকে মৌসুম কাটিয়ে দিতে তার কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছেন এই তরুণ।

এদিকে পিএসজির জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাক-মৌসুম সফরের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমবাপেকে। কেবল ক্লাবের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধদের নিয়েই হাঁটতে চায় ক্লাবটি। কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে থেকে যাওয়া এমবাপের আগামী মৌসুমটি পিএসজির সঙ্গে কেমন কাটবে সেটির দিকে এখন সবার নজর।