বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজে প্রতিপক্ষের পাশাপাশি আগত বিদেশি খেলোয়াড়দের লড়াই করতে হয় অস্বাভাবিক উচ্চতার সঙ্গেও।সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬২৫ ফুট উচ্চতায় দেশটির রাজধানী লাপাজের ফুটবল মাঠে অক্সিজেন সংকটে ভুগেন খেলোয়াড়েরা।

বৈরী আবাহাওয়ার এই শহরে এর আগে ম্যাচ খেলার স্মৃতি খুব একটা সুখবর ছিল না আর্জেন্টিনার। ২০০৯ সালে লাপাজে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানে লজ্জার হার হেরেছিল আলবিসেলেস্তরা।

তবে বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে বলিভিয়া আসা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবার ছিল পুরোপুরি প্রস্তুত। অনুশীলন নির্বিঘ্ন করতে মেসিরা অক্সিজেনের সিলিন্ডার সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। আবাহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছিলে মেসি-ডি মারিয়ারা।

ইনজুরির কারণে মঙ্গলবার বলিভিয়ার বিপক্ষে দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসিকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আর্জেন্টিনার এবার লাপাজের উচ্চতা জয় করতে কোণ অসুবিধা হয়নি।

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৩-০ গোলে। দলের হয়ে গোল করছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো এবং নিকোলাস গনসালেস। এ নিয়ে বিশ্বকাপের পর খেলা ৬ ম্যাচের প্রতিটিতে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা ১৭ গোল করলেও হজম করেনি কোনো গোল।

উচ্চতা আর দলের সবচেয়ে বড় তারকা অনুপস্থিতিতে আর্জেন্টিনা কিছুটা সতর্ক ছিল। তবে ধীরে ধীরে ম্যাচে পুরনো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে লিওনেল স্কেলোনির দল বলিভিয়ান গোলরক্ষকের দক্ষতায় বেশ কয়েকবার বঞ্চিত হওয়ার পর ৩১ মিনিটে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৩১ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন এনজো ফার্নান্দেজ।

হুলিয়ান আলভারেজের বাড়ানো পাসে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে এনজোকে খুঁজে নেন ডি মারিয়া। দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন চেলসি মিডফিল্ডার।৩৯ মিনিটে বলিভিয়ার খেলোয়াড় রবার্তো ফার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। এ সুযোগে চাপ আরো বাড়ায় আর্জেন্টিনা। এর মিনিট পরে কয়েক পরেই ডি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে স্কোরলাইন ২-০ করেন তালিয়াফিকো।

দ্বিতীয়ার্ধে নিকোলাস গনসালেসের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে মেসির গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।