প্রথম লেগে ৫-১ ব্যবধানে জিতেই লীগে কাজটা সেরে রেখেছিল লিভারপুল।ঘরের মাঠে বিধ্বস্ত স্পার্টা প্রাগকে লিগে টিকে থাকতে অ্যনফিল্ডে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হত।প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় যেটির স্বপ্ন খুব সম্ভবত চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাবটির ভক্তরাও দেখেনি।

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুল এদিন আরও একবার গোল উৎসবে মাতে।বৃহস্পতিবার ইউরোপা লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পার্টার বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে লিভারপুল।দুই লেগ মিলিয়ে ১১-২ অগ্রগামিতায় প্রতিযোগিতার শেষ আটে জায়গা করে নিল অলরেডসরা।

ইউরোপা লীগে ১৯৮০-৮১ মৌসুমের পর নকআউট পর্বে দুই লেগ মিলিয়ে কোন দলের এত গোল করার আর নজির নেই।

ম্যাচের ৮০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রাখা লিভারপুল পুরো ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত স্পার্টা খুব বেশি পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পায়নি। ম্যাচের ৭ম মিনিটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ডারউইন নুনেজের নিখুঁত ফিনিশে গোল উৎসবের শুরু।পরের মিনিটেই লিভারপুলের জার্সিতে নিজের অভিষেক গোল ব্যবধান দিগুণ করেন তরুণ ববি ক্লার্ক।এরপর সালাহ, গাকপোর গোলে ১৪ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।বিরতির আগে একটি গোল শোধ করলেও এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্পার্টা। 

বিরতির পর আক্রমণের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ব্যবধান আরও বাড়ায় লিভারপুল।৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন গাকপো।অল রেডসদের শেষ গোলটি আসে ডমিনিক সোবোসজলাইয়ের পা থেকে।