রেকর্ড চার বারের মত ইউরোর শিরোপা জিতে পুরো ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে স্পেন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নান্দনিক ফুটবলের দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। এক এক করে সাবেক চার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে স্প্যানিশরা। মন ভরানো ফুটবল উপহার দিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মন কেড়েছে স্পেন। তাদের এমন পারফরমেন্সের প্রতিফলন পড়েছে ইউরোর সেরা একাদশে। ঘোষিত একাদলের ১১ জনের মধ্যে ছয়জনই স্পেন দলের। বার্লিনে গত রোববার ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে স্পেন। সাত ম্যাচের সবগুলোই জিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। টুর্নামেন্টের পর্দা নামার এক দিন পর ৪-৩-৩ ফর্মেশনের সেরা একাদশ ঘোষণা করল উয়েফা। আক্রমণভাগে ফুটে উঠছে তরুণদের আধিপত্য। জায়গা পেয়েছেন আসর জুড়ে আলো ছড়ানো স্পেনের দুই তরুন। গত শনিবার ১৭ বছর পূর্ণ করা লামিনে ইয়ামাল এবং তার আগের দিন ২২ বছর পূর্ণ করা নিকো উইলিয়ামস। বিস্ময়বালক বার্সেলোনার ইয়ামাল পেয়েছেন আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। ফাইনালে তার পাস থেকেই দলকে এগিয়ে নেন উইলিয়ামস। আসরে মোট দুটি গোল করেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের এই ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের অন্যজন হলেন জার্মানির জামাল মুসিয়ালা। তিন গোল করে আরও পাঁচজনের সঙ্গে যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। আসরে নিজেদের প্রায় সব ম্যাচেই মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করে স্পেন। সেরা একাদশেও মিডফিল্ডে তাদের একক আধিপত্য; তিনজনের সবাই স্প্যানিশ। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ী রদ্রির সঙ্গে আছেন দানি ওলমো ও ফাবিয়ান রুইস। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে হারের স্বাদ পাওয়া ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার সেরা একাদশে দলটির একমাত্র প্রতিনিধি। রক্ষণে তার সঙ্গে আরও আছেন- ফ্রান্সের উইলিয়াম সালিবা, সুইজারল্যান্ডের মানুয়েল আকাঞ্জি ও স্পেনের মার্ক কুকুরেইয়া। আর পোস্টে আছেন ফ্রান্সের বিশ্বস্ত গোলরক্ষক মাইক মিঁয়া।

ইউরোর সেরা একাদশ
মাইক মিঁয়া ও উইলিয়াম সালিবা (ফ্রান্স), কাইল ওয়াকার (ইংল্যান্ড), মানুয়েল আকাঞ্জি (সুইজারল্যান্ড), মার্ক কুকুরেইয়া, রদ্রি, দানি অলমো, ফ্যাবিয়ান রুইজ, লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামস (স্পেন) এবং জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি)।