যুব এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ

ইনকিলাব

০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

ছবি: বিসিবি/ফেসবুক

দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন পেসাররা। পরে ব্যাট হাতে ফিফটি ইনিংস উপহার দিলেন জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম। নেপালকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারায় যুবারা। ১৪২ রানের লক্ষ্য ১২৮ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে আজিজুলের নেতৃত্বাধীন দল।

আসরের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে সেরা চারের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলল দলটি। 'বি' গ্রুপে সমান দুটি ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কাও। প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল নেপাল ও আফগানিস্তানের।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে যুব ওয়ানডে অভিষেকে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করা আজিজুল এবার খেলেন ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে ৫৯ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। এই ম্যাচটির অবশ্য যুব ওয়ানডে স্বীকৃতি নেই।

জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে দেন মূলত পেসাররা। আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন, সাদ ইসলাম ও রিজান হোসেন মিলে নেন ৭ উইকেট। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে নেপালের প্রথম আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু দুজন।

বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ফাহাদ, ইকবাল ও রিজান। রিজান ৬ ওভারে দেন স্রেফ ৮ রান। ৮ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে একটি শিকার ধরেন রাফি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারায় নেপাল। একশ রানের আগে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান সাত ব্যাটসম্যান।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ২৪ ওভার পর্যন্ত খেলেন ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চারে ৭৭ বলে ৪৩ রান। এছাড়া ছয় নম্বরে নেমে কিপার-ব্যাটার উত্তাম রাঙ্গু থাপা মাগার ৬৯ বলে ২৯ রান করেন।

অষ্টম উইকেট জুটিতে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৬ রান যোগ করেন মাগার ও আভিশেক তিওয়ারি। মাগার রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া তিওয়ারি ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ২৯ রান করেন।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই আউট হন আগের ম্যাচে ফিফটি করা কালাম সিদ্দিকি এলিন। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি জাওয়াদ ও আজিজুল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১০৯ বলে ৯০ রান। আজিজুল রয়েসয়ে খেললেও নেপালের বোলারদের তুলাধুনা করেন জাওয়াদ। ৪ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৫৩ বলে ফিফটি করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলের ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন জাওয়াদ। তার বিদায়ের পরের বলেই আউট হন শিহাব জেমস।

পরে ফরিদ হাসানকে নিয়ে ৫২ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন আজিজুল। জয় থেকে ৮ রান দূরে থাকতে ইউভরাজ খাত্রির বলে বোল্ড হন ৩১ বলে ১৩ রান করা ফরিদ। পরের বলে এলবিডব্লিউ রিজান।

তবে নেপালকে নাটকীয় কিছু করতে দেননি আজিজুল। ৭০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭১ বলের ইনিংসে ২ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

একই মাঠে মঙ্গলবার গ্রুপ সেরা হওয়ার অভিযানে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ (ত্রিপাঠি ৪৩, মায়ান ৪, কুমাল ০, ভাট্টা ৪, সান্তোশ ৭, মাগার ২৯, বিশ্বকার্মা ২, সাউদ ৪, তিওয়ারি ২৯, ধামি ২, খাত্রি ০*; ফাহাদ ৭.৪-০-২৬-২, সাদ ৭-০-৩৬-১, ইকবাল ৯-১-২৪-২, রিজান ৬-১-৮-২, রাফিউজ্জামান ৮-২-১৫-১, আজিজুল ৪-০-১৫-১, দেবাশিষ ৪-০-১৩-০)

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ২৮.৪ ওভারে ১৪২/৫ (জাওয়াদ ৫৯, কালাম ০, আজিজুল ৫২*, শিহাব ০, ফয়সাল ১৩, রিজান ০, দেবাশিষ ৫*; ধামি ৬.৪-১-৩৯-১, তিওয়ারি ৪-০-১৪-০, ত্রিপাঠি ১-০-৭-০, সাউদ ৫-০-২৭-০, সান্তোষ ৬-০-৩১-০, খাত্রি ৬-১-২৩-৪)

ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: জাওয়াদ আবরার

বিভাগ : খেলাধুলা