গারো পাহাড় অঞ্চলে শীতের সবজি গ্রীষ্মকালে
২৬ মে ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

গারো পাহাড় অঞ্চলে গরমেও মিলছে শীতের রকমারি শাক-সবজি। অসময়ের এই সবজিতে হাট-বাজার ভরে গেছে। দাম তুলনামূলক একটু বেশি পাওয়ায় কৃষকরাও অনেক লাভবান হচ্ছেন। পাইকাররা মাঠ থেকে এই শাক-সবজি পাইকারী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
শেরপুর জেলা (উত্তর) গারো পাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চলজুড়ে আগে থেকেই সবজির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এসব গ্রামের কৃষকরা বেশ ক’বছর আগে থেকেই আগাম সব ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হয়ে আসছেন। এবারেও তারা শীতের লাউ, চিচিঙ্গা, ঢেঁরশ, কাকরোল, বরবটি, ডাটা, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, শসা. ঝিঁঙে, কদুঁ, পটল, টমেটো, ইত্যাদি সবজির চাষ করেছেন। বর্তমানে বাজারে বিক্রি করে লাভবান ও হচ্ছেন। শেরপুর জেলা (উত্তর) ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ির কৃষকরা এই গ্রীম্মকালেও শীতের সবজি চাষে সফলতায় বেজায় খুশি তারা। ইতোমধ্যেই জমির অর্ধেক সবজি বিক্রি করেছেন কৃষকরা। জমি থেকেই পাইকাররা চড়া দামে কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সবজি। এসব জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মরিচ চাষ করায় মরিচ গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ ও লাগেনি। পাহাড় এলাকার উঁচু জমিতে সবজি চাষি সংবাদকর্মী এম. মোকাদ্দেস বলেন, তিনি ৯০ শতক জমিতে সবজির চাষাবাদ করে আসছেন। বিভিন্ন শাক-সবজি, মরিচবাদে অন্য জমিতে টমেটোর চাষও করেছেন। বর্তমানে টমেটোর সিজনও প্রায় শেষ। এ বছর বিভিন্ন সবজি তিনি লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছেন।
সরেজমিনে ঝিনাইগাতী উপজেলার সবজি গ্রাম সন্ধাকুড়া, গারোকুনা, হলদিগ্রাম, জারুনতলা, মানিককুড়া ইত্যাদি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালিন সবজির আবাদে ভরে গেছে এ সব গ্রাম। প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায়তো বটেই উঁচু পাহাড়ি জমিতে বেগুন, লাউ, সিম, মূলাসহ রকমারি শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে মাঠের পর মাঠ। কৃষক-কৃষানীরাও অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজি ক্ষেত পরিচরয্যায়। যেন অবসর নেই তাদের। কেউ সবজি ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন কেউবা করছেন স্প্রে।
কেউ বা ক্ষেত থেকেই বেশ চড়া দামে পাইকারি বিক্রি করে দিচ্ছেন সবজি। উপজেলা-জেলা সদর এমনকি ঢাকা অথবা অন্যন্য স্থানের পাইকাররা বেশ চড়া দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আগাম শীতের সবজি।
স্থানীয়রা কৃষকরা জানান, তারা সবাই কম-বেশী সবজির আবাদ করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন। তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন- এমন ফসল উতপাদনকারী কৃষকের সংখ্যা আগামী দিনে অনেক বাড়বে। সবজি চাষি ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদিগ্রামের এম. মোকাদ্দেস দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘বাজার থেকে সবজি বীজ কিনে বপন করে চারা তৈরি করেন। চারা বেড়ে ওঠার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর জমি প্রস্তুত করে জমিতে ওই চারা রোপণ করেন। প্রথম বারেই গ্রীষ্মকালে সবজি চাষ করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এলাকার মানুষ তা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার ইনকিলাবকে জানান, ‘কৃষকরা এখন নিজেরাই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ এক্ষেত্রে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে যেন কৃষক সবজি আবাদ করে লাভবান হতে পারেন।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকরা গ্রীস্মকালিন শাক-সবজি আবাদে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এমন কোন শীতকালিন শাক-সবজি নেই যা তারা এই গ্রীস্মকালেও উৎপাদন না করছেন। পাহাড়ি গ্রামে গেলে মনে হয় সবজি আবাদে মারাত্মকভাবে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। যা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে।’
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ছোট শাহরুখের অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হতেন সহপাঠী ও শিক্ষকরা

১৪ আগস্ট মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি

বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

লেনদেনের নতুন রেকর্ড পুঁজিবাজারে

১২ বছরে দেশে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ : পরিসংখ্যান

রেকর্ডসংখ্যক বিদেশির জার্মান নাগরিকত্ব গ্রহণ

নওগাঁয় ট্রাক-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে ড্রাইভারসহ নিহত ৪

তিন দিনের মাথায় ভারতে আবারও ট্রেন লাইনচ্যুত

শ্রীনগরে নয়নজুলীর জায়গায় নির্মাণাধীণ স্থাপনা ভাঙ্গার নির্দেশ

উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ২১ জুন

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সঙ্কটের মুখে জার্মানির অর্থনীতি

নকশা বর্হিভূতভাবে নির্মাণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের হরিজন পল্লী

পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলায় যুক্তরাজ্যের ‘কুখ্যাতি’ বাড়ছে

নিখোঁজের একদিন পরে প্রতিবেশীর আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার!

চৌগাছা সীমান্ত থেকে ৩কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

ইউক্রেনের ৯৬টি আর্টিলারি ইউনিট ধ্বংস করেছে রুশ সেনা

লুহানস্কে ৭ দিনে ২ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী