ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
নিষেধাজ্ঞার উঠে যাওয়ার পর সাগরে নেমেছে জেলেরা। চলমান তিথিতে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ছে বেশি এবং আকারেও আগের চেয়ে বড়। ফলে চট্টগ্রামের আনোয়ারার সমুদ্রোপকূলে এখন ইলিশ ধরায় ব্যস্ত ২ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী। গেল সপ্তাহ থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সাগরে নেমেছে অগণিত মাছ ধরার ট্রলার। মাছ ভর্তি করে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে ফিশিং বোটগুলো। ঘাটে ইলিশ আর হরেক রকমের মাছ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপকূলের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র গুলো। বেশি মাছ ধরা পড়লেও দাম কমছে না। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না এখনো।
সরেজমিন রায়পুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় ইলিশঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলে ও মাছ প্রক্রিয়াজাতে জড়িত ব্যক্তিরা ইলিশ সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছে। স্তুপ করে রাখা হয়েছে ইলিশ। সেগুলো সারিবদ্ধভাবে গুছিয়ে সংরক্ষণ করছে তারা। শুধু ইলিশই নয় ছোট বড় সব ট্রলারে ধরা পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। সেখান থেকে ক্রয় নিয়ে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম শহরসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। উপকূলের ঘাটে ট্রলার ভর্তি করে মাছ নিয়ে জেলেরা ফিরলেও দাম যেন কমছে না এতটুকুন। উপকূল ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার চাতরী চৌমুহনীতে ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড় কেজি বা তার চেয়ে ওজনে বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। অথচ বিগত সময়ে এ মাছের দাম এখনকার অর্ধেকে ছিল।
স্থানীয় আড়তদার মহিউদ্দিন জানান, এক থেকে দেড় কেজি বা তার বড় সাইজের মাছগুলো ৪০ থেকে ৫০ হাজার এবং এর থেকে ছোট সাইজের মাছগুলো ১৭ থেকে ১৪ আর ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি হচ্ছে। মো. এরফান আলী নামে এক ক্রেতা জানান, ইলিশের দাম চড়া হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ তা কিনতে পারছে না। বিগত সময়ে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাড়ে পাঁচশ টাকা কেজি। কিন্তু এখন একই সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। সাগরে বেশি মাছ ধরা পড়লেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম কমছে না।
স্থানীয় মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা জানান, আনোয়ারায় ৩ হাজার ৫৮৯ জন নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী সাগরে ইলিশ মাছ ধরে থাকেন। উপকূলীয় রায়পুর, বারশত, জুঁইদন্ডী, বরুমচড়াসহ ১১ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬০০ নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছে। উপকূলের ঘাটগুলোর মধ্যে পারকি, পরুয়াপাড়া, গলাকাটা, উঠানমাঝি, ফকিরহাট (ঘাটকূল), খুইল্যা মিয়া ইলিশঘাট হিসেবে পরিচিত হলেও সবচেয়ে বড় ইলিশঘাট হচ্ছে রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা উঠানমাঝির ঘাট। এ ঘাটে এখন চলছে ইলিশ উৎসব। ভোরে ও গভীর রাতে বিভিন্নস্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ছাড়াও শখের বসে অনেকেই আসেন মাছ কিনতে। তবে বাজারের তুলনায় এখানে দাম একটু কম বলেও জানান তারা।
ইলিশের অতিরিক্ত দামের বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের কোনো করণীয় নেই জানিয়ে আনোয়ারা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক বলেন, সাগরে মাছ বেশি ধরা পড়লেও মাছের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। আমি নিজেও বাজারে গিয়ে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখেছি। কিন্তু অতিরিক্ত দামের বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো