নাটোরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দু’পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েন। হাতাহাতিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হন।

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ জানান, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আমরা কেক কেটে পালন করছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আমরা আরেকটি অনুষ্ঠানে যেতে বের হবার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পার্টি অফিসে আসছেন জানতে পারি। আমরা তাদের বলি, পার্টি অফিসে নৌকা বিরোধী কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবে না। আপনারা অন্য জায়গায় প্রোগ্রাম করেন। এ সময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন জানান, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আমরা পার্টি অফিসে যাই। এ সময় ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা অর্তকিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের দাবি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।