রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার অপর আসামি হলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সদস্য মুনসুর আলম।
গত মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদাউস আহস্মেদ বিশ্বাস। এ ছাড়া তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী জোনাল টিমের এসআই আশরাফুল আলম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৫ জানুয়ারি রাতে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ চারজন মারা যান।
এ ঘটনায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আগুন দিয়ে নাশকতা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় আসামির সংখ্যা বা নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ওইদিন ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী অর্থ সহায়তা করেছেন বলে জানা গেছে।