ডামি সংসদ বাতিল করতে হবে : আ স ম রব

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ নির্বাচন বর্জন করায় ডামি নির্বাচনের ‘ডামি সংসদ’ এবং ‘ডামি সরকার’ গঠিত হয়েছে। সুতরাং জনগণের সম্মতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে অবিলম্বে ডামি সংসদ বাতিল করতে হবে এবং এর সঙ্গে ডামি সরকারকেও পদত্যাগ করতে হবে। জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় গতকাল সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন। রাজধানীর উত্তরায় তার বাসভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আরো বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও অ্যাডভোকেট কে এম জাবির।

আ স ম রব বলেন, অসাংবিধানিক চর্চার মাধ্যমে সংবিধানকে হাতের খেলনা করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে গিয়ে রাষ্ট্র আইনগত ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির মাধ্যমে রাষ্ট্র থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক, নৈতিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ না করায়, ক্ষমতাসীনদের লোভ-লালসায় সমাজটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলতান্ত্রিক করতে গিয়ে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে। এই ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশকে পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভব হবে না।

সভায় এক রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, একতরফা প্রহসনের নির্বাচনেও ভোটারদের চাপ প্রয়োগ ও ফলাফলে কারচুপির মতো ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ ও দমনে এবং সরকারের দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন ব্যাপক গণসমর্থনভিত্তিক দল ও জোটকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে দূরে রাখার সরকারের অপকৌশল আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের মূলনীতিকে দারুণভাবেক্ষুণœ করেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

 

এতে আরো বলা হয়, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো, মিথ্যা অভিযোগে পরোয়ানা ছাড়া বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো, তথাকথিত বিচারের নামে দ-িত করা এবং বিরোধী রাজনীতিক ও বিরোধী দলগুলোর সমর্থকদের ওপর পরিচালিত সহিংসতা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। এই আত্মঘাতী নির্বাচন রাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থাসহ স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় এমন একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রবর্তন করতে হবে, যা জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাজের সব অংশের মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে, যে প্রক্রিয়ায় সব মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা স্থাপিত হবে। একটি অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থিতিশীল রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন রাষ্ট্রের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

সরকারের পদত্যাগ এবং প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার রাজনৈতিক কর্তব্য পালনে সবাইকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ

ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ

ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা

ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১,মানবিক বিপর্যয় চরমে

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১,মানবিক বিপর্যয় চরমে

ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক

ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হলেন মাদুরো, নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হলেন মাদুরো, নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল

আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর আজ

আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর আজ

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল