দেশের কৃষি, গবাদিপশু পালন ও মৎস্য চাষে দরিদ্র ও প্রান্তিক নারীদের অংশগ্রহণে সহযোগিতা করার মাধ্যমে দেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও তাদের ক্ষমতায়নে অবদান রাখছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

তিনি বলেন, দেশের কৃষকদের উন্নতমানের সার, বীজ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পিকেএসএফ। এতে জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও সার্বিক খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। এর মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি আমরা। দেশের কৃষি ক্ষেত্রে নিপীড়িত ও অবহেলিত নারীরাও সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তারা এখন গবাদিপশু ও মৎস্য চাষেও সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছে পিকেএসএফ। এভাবে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে পিকেএসএফ।

দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, পিকেএসএফ’র এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর করা গবেষণার বদৌলতে। তারা যদি এসব গবেষণা দেশে ছড়িয়ে না দিতো তাহলে হয়তো বর্তমান সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না।

দেশের কৃষি গবেষণার সুফল আরও ভালোভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারি সব গবেষণা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে পিকেএসএফ’র সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পিকেএসএফ এ ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব দেন খায়রুল হোসেন। এ সময় কফি, কাজুবাদামসহ কৃষিক্ষেত্রে দেশের যেসব সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে সেখানে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য পিকেএসএফ’র কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান।

‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কৃষি, কৃষক ও পিকেএসএফ’ শীর্ষক এই কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। কর্মশালার পাশাপাশি পিকেএসএফ কার্যালয়ে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।